1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪, ১১:৪১ অপরাহ্ন

জি কে শামীমের জামিন জানে না রাষ্ট্রপক্ষ

দিনলিপি নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৮ মার্চ, ২০২০
  • ৭১৯ বার

এক মাস আগে দুইটি মামলায় জামিন পেলেও এ বিষয়ে কিছুই জানে না রাষ্ট্রপক্ষ। নিম্ন আদালতে জামিননামা দাখিলের পরই বিষয়টি প্রকাশ পায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম ইত্তেফাককে বলেন, কাল (রবিবার) এ বিষয়ে আমরা খোঁজ নেব। উচ্চআদালত জামিন দিয়ে থাকলে আমরা ঐ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে যাব। তিনি বলেন, আমাকে আগে খোঁজটা নিতে দিন, তারপর দেখুন কি ব্যবস্থা নেই।

এ ধরনের আসামির জামিন প্রাপ্তির বিষয়টি এক মাসেও রাষ্ট্রপক্ষ না জানায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। তিনি বলেন, এ ধরনের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষকে নোটিশ দিয়ে জামিন শুনানি হওয়ার কথা। আর যে আদালতে জামিন চাওয়া হয়েছে সেখানে তো দায়িত্বপ্রাপ্ত আইন কর্মকর্তারা (ডিএজি/এএজি) ছিলেন। তারা নোটিশ পেয়েছিলেন কি না? নোটিশ পেলে জামিনের বিরোধিতায় কি পদক্ষেপ নিয়েছেন সেটা জানা দরকার। নোটিশ পাওয়ার পরও যদি সঠিক পদক্ষেপ না নেয় তাহলে রাষ্ট্র তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করি।

গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকায় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র্যাব। ঐ অভিযানে জি কে শামীমসহ যুবলীগের শীর্ষ কয়েকজন নেতা ক্যাসিনোকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হন। শামীমকে নিকেতন অফিস থেকে গ্রেফতারের পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক, অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চারটি মামলা করা হয়। এই চারটি মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হন তিনি। এরপর হাইকোর্টে জামিন চান। এর মধ্যে অস্ত্র মামলায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ শামীমকে ছয় মাসের জামিন দেয়। এ সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়, আমরা নিম্ন আদালতের আদেশ ও জামিন আবেদন পর্যালোচনা করলাম। জামিন আবেদনকারীর আইনজীবীর বক্তব্যে সারবত্ত্বা থাকায় আবেদন মঞ্জুর করা হলো। ২৭ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া জামিন না মঞ্জুরের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জামিন চেয়েছিলেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এফ আর খান ইত্তেফাককে বলেন, অস্ত্র মামলায় জি কে শামীমের জামিন হয়েছে কি না সেটা জানি না। তবে গণমাধ্যমের মাধ্যমে জামিনের বিষয়টি জানতে পেরেছি। জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে জামিন হাসিল করা হয়েছে কি না সেটা মামলার নথি দেখে আমরা বক্তব্য দেব।

তবে শামীমের আইনজীবী শওকত ওসমান বলেন, আমরা কোনো ধরনের জালিয়াতির আশ্রয় নেইনি। আদালত রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনেই জামিন মঞ্জুর করেছে। গত সপ্তাহে জামিননামা ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে দাখিল করা হয়েছে। তবে শামীমের বিরুদ্ধে আরো দুটি দুর্নীতির মামলা থাকায় এখনই কারামুক্তি পাচ্ছেন না বলে জানান ঐ আইনজীবী। অস্ত্র ও মাদক দুইটি মামলায় নিম্ন আদালতে শামীমের বিরুদ্ধে বিচার চলছে। গ্রেফতারের পর থেকে রয়েছেন কারাগারে।

পাঁচ বোতল বিদেশি মদ পাওয়ার মামলায় ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জামিন চান শামীম। শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ৪ ফেব্রুয়ারি তার এক বছরের জামিন মঞ্জুর করে। একইসঙ্গে তাকে কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

হাইকোর্টে আরো দুইটি দুর্নীতির মামলায় জামিন চেয়েছেন শামীম। মামলা দুইটি হচ্ছে অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা। এরই মধ্যে জামিন চেয়ে করা আবেদনের এফিডেভিট সম্পন্ন হয়েছে। দুইটি মামলা তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ