বরাবরের মত এবারো তিনশো পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে কলসকাঠীর কৃতি সন্তান সৌদি রিয়াদের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ্ আল মামুন (লালন), তার বাবা আবদুল কাদের মোল্লা প্রধান শিক্ষক (অবঃ) সাওালিয়া সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়) এর একান্ত সহয়োগিতায় বেবাজ এবং কলসকাঠীর নিন্মবিও এবং নিন্ম মধ্যবিত্তর বাড়ি বাড়ি গিয়ে নগদ অর্থ হিসেবে ঈদের উপহার পৌছে দেন। গ্রামবাসী তার এ উপহার পেয়ে খুবই অনন্দিত। তারা জানান এলাকার যে কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অর্থিক সহায়তা করে থাকেন এবং অসহায় পরিবারের বিয়ে কিংবা চিকিৎসা জন্য গেলেও কাউকেই খালি হাতে ফিরতে হয়না। এছাড়াও দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি সামাজিক অবক্ষয় রোধ ও সমাজ সেবায় তৎপর রয়েছেন। এলাকায় মসজিদ, মন্দির, ধর্মীয় উপসনালয়, ওয়াজ মাহফিল, অসহায় মানুষদের চিকিৎসা সেবায়, কন্যাদ্বায় গ্রস্থ পরিবার, এতিমখানা ও মিসকিনদের সহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে আর্থিকভাবে তিনি সাহায্য করে থাকেন। এমনকি এই করোনা দূর্যোগে অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে খাবার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন।

এছাড়াও এলাকার তরুন ছেলেদের ফুটবল খেলায় সহযোগীতাসহ ক্রীড়াঙ্গনে রয়েছে তার বিশেষ অবদান। সম্প্রতি কলসকাঠী কলেজ পাড়া এসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠনের উপদেষ্ঠা হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন। দিয়াতলি, নারাঙ্গল, মুসলিম পাড়া সুন্নতিয়া এতিখানা মাদ্রাসায় আর্থিক সহযোগীতা এবং বেবাজ কাছেম আলি সাহর মসজিদ নির্মানে পরিপুর্ণ সহযোগীতার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।

আবদুল্লাহ্ আল মামুন (লালন) মুঠোফোনে বলেন, প্রতি বছর এভাবেই গরীব-দুঃস্থদের পাশে দাঁড়াতে চাই। সকলের সহযোগীতা নিয়ে এলাকার উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহন সহ গরীব, দুস্থ্য ও অসহায়দের পাশে থেকে সব সময় সহযোগীতা করতে চান তিনি। এবারের ঈদ-উল ফিতরে সকলকে ঈদ শুভেচ্ছা সহ দোয়া কামনা করছেন তিনি। একই সাথে কলসকাঠী ইউনিয়নের গরীব-দুস্থ পরিবারও যেন ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয় সে লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্দ্যোগে গ্রহণ করেছেন। তিনি আরো বলেন, এর আগে করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ গরীব, অসহায় ও কর্মহীন মানুষকে দফায় দফায় খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছি। ব্যক্তিগত উদ্যোগেও বিপুল সংখ্যক মানুষকে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এভাবেই সব সময় মানুষের পাশে থাকবো।