সরকার ও হেফাজতের মধ্যে ‘ভুল বোঝাবুঝির অবসান’ ও বন্ধ থাকা কওমি মাদরাসাগুলো খুলে দিতে গত রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন হেফাজতের শীর্ষ কয়েকজন নেতা। সংগঠনটির মহাসচিব নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে দেখা করেন তারা।
সোমবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে দেখা করতে এলেও আলোচনায় সুনির্দিষ্ট কোনো এজেন্ডা ছিল না।
হেফাজত নেতারা কেন দেখা করেছেন জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, হেফাজত নেতাদের যাতে গণগ্রেপ্তার না করা হয়।
তিনি আরো বলেন, তবে আমি তাদের বলেছি, কোনো গণগ্রেপ্তার হচ্ছে না। যারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত, ঠিক তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হেফাজতের এক নেতা বলেন, হেফাজতের সঙ্গে সরকারের কিছু ভুল বোঝাবুঝি ছিল। দেখা করে সেইগুলো ক্লিয়ার করেছি। এখানে কোনো দাবি-দাওয়া বা আশ্বাস-বিশ্বাস ছিল না।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে বিক্ষোভে এ সহিংসতায় জেরে ডাকা হরতালে সারাদেশে উত্তাল অবস্থার তৈরি হয়। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর ও সহিংসতা চালান হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা।
এসব ঘটনায় হেফাজতের প্রায় ৯ কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
গত ১১ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলামাবাদী ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ অর্থ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগরী কমিটির সহসভাপতি মুফতি ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ১৩ এপ্রিল হেফাজতের কেন্দ্রীয় সহ প্রচার সম্পাদক মুফতি শরীফ উল্লাহ, ১৪ এপ্রিল সহকারী মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি ও কেন্দ্রীয় নেতা সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) মাওলানা যুবায়ের আহমেদ ও শনিবার (১৭ এপ্রিল) মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদ নামে হেফাজতের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সর্বশেষ রোববার হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।