1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন

সচল হলো বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর

দিনলিপি নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৬ জুন, ২০২০
  • ৬৩৯ বার

বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পুনরায় সচল হয়েছে আমদানি-রপ্তানি। টানা ৭৫ দিন বন্ধ থাকার পর আজ শনিবার (৬ জুন) সকালে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সড়কপথে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়।

করোনা দুর্যোগের কারণে গত ২৩ মার্চ থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। তবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার গত ২৪ এপ্রিল আমদানি-রপ্তানির অনুমোদন দিলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুমতি না থাকায় দীর্ঘদিন সড়কপথে বন্ধ ছিল ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্য। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বারবার চিঠি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে স্থলবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য শুরুর অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন।

এছাড়া বনগাঁর সিন্ডিকেটের কারণেও বাণিজ্যে জটিলতা দেখা দেয়। পরে রেলওয়ের মাধ্যমে পণ্য আমদানির অনুমতি দেওয়ায় স্থলপথে আমদানি-রপ্তানির ওপর চাপ সৃষ্টি করেন ভারতের পেট্রাপোল বন্দর এলাকার শ্রমিকসহ ট্রাক মালিক ও চালকরা। একপার্যায়ে গত বৃহস্পতিবার (৪ জুন) বিকেলে সীমান্তের জিরো পয়েন্ট এলাকায় দুই দেশের প্রশাসন ও ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে বৈঠকের পর আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সচল করার সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠকে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী, বনগাঁ পৌরসভার মেয়র শংকর আঢ্য ডাকুসহ কাস্টমস, পুলিশ, বিএসএফ ও পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস, ট্রাক মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে বাংলাদেশের পক্ষে বেনাপোল বন্দর, কাস্টমস, বিজিবি ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, করোনার কারণে দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ। স্বাস্থ্যবিধিসহ সব নির্দেশনা মেনে আজ শনিবার আমদানি-রপ্তানি শুরু করতে দুই দেশের নেতৃবৃন্দ একমত হয়েছেন। প্রাথমিক পর্যায়ে আমদানি-রপ্তানির জন্য ৫০টি পণ্যবাহী ট্রাক দিতে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা সম্মতি দিয়েছেন। পরে পরিস্থিতি দেখে ট্রাকের সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ