1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ১০:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
রোজায় স্কুল বন্ধ রাখার আদেশ বহাল, আপিল শুনানি মঙ্গলবার ফলের গায়ে শুল্কের আগুন, ইফতারের প্লেটে উঠবে না সবার যেখানেই যাই শুনি হাসপাতালে ডাক্তার থাকে না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভারতকে হারিয়ে সাফের ফাইনালে বাংলাদেশ আগুনে পোড়া ভবনে মানুষের আতঙ্কভরা চোখ অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের আয়োজনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও আমার কিছু কথা।। মোহাম্মদ রোমান হাওলাদার সিরাজদিখানে চাপাতির ভয় দেখিয়ে মোবাইল ছিনতাই, ছাত্রলীগ সভাপতির ভাইসহ গ্রেফতার-৪ সিরাজদিখানে শহীদ মিনারে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে যুবলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে মারামারি,ছবি তোলায় দুই সাংবাদিকে পিটিয়ে আহত! সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের দুই বছর মেয়াদে নির্বাচন সম্পন্ন সভাপতি মোক্তার সম্পাদক মাসুদ!

স্বাস্থ্যবিধি নেই পশুর হাটে

দিনলিপি নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৬ জুলাই, ২০২১
  • ৩৩১ বার

দিনাজপুরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানির পশুর হাট শুরু করার কথা থাকলেও জেলার কোনো হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি দেখা যায়নি। ফলে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

হাট ইজারাদাররা বলছেন, হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক ও মাইকিং করা হচ্ছে। তবুও অনেক হাটুরে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না।

প্রশাসন বলছে, পশুর হাটগুলোতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টহল রয়েছে। তারপরও স্বাস্থ্যবিধি না মানলে হাট বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হবে।

জানা যায়, জেলায় সরকারের ইজারাভুক্ত ছোট-বড় প্রায় ৬৫টি হাট রয়েছে। গত ১৫ জুলাই থেকে একযোগে প্রতিটি হাটে গবাদি পশু বেচাকেনা শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই হাট জমে উঠেছিল। তবে বেচাকেনা কিছুটা কম হয়েছে। অনেকে প্রথমে গরুর দাম-বাছাইয়ের জন্য হাটে গিয়েছিল।

জেলা সদরের রেল বাজারের হাটের স্থান পরিবর্তন করে মহারাজা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নেয়া হয়েছে। সরেজমিনে সেখানে দেখা যায়, ছোট-বড় গবাদি পশুতে ভরপুর হাট। ক্রেতার সমাগমও প্রচুর। কিন্তু ক্রেতা-বিক্রেতারা স্বাস্থবিধিতে অসচেতন। কেউ মাস্ক পরছে, কেউবা মাস্ক শুধু কানের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে, আবার অনেকে মাস্ক ছাড়া ঘোরাফেরা করছে। হাটগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বালাই নেই। গায়ে গা লাগিয়ে গবাদি পশু দরদাম চলছে।

মাস্ক পরেনি এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বললে তারা বিভিন্ন অনুভুতির কথা জানালেন। এক গরু বিক্রেতা বলেন, ‘গরীবের ঘরে কখনো করোনা আসবে না। আমরা শারীরিক পরিশ্রম করি, করোনা আমাদের ধরবে না। তবে মাস্ক পকেটে রাখি, কারণ পুলিশ দেখলে মাস্ক পরি, যাতে জরিমানা দিতে না হয়।’

অনেকে বলছেন, ‘গরমে মাস্ক পরলে দম বন্ধ হয়ে আসে, এ কারণে মাস্ক পরি না।’ আবার অস্বস্তির অজুহাতে মাস্ক দুই কানে ঝুলিয়ে রেখেছে অনেকে। কেউ কেউ তারাহুরা করে মাস্ক মুখে পড়েলেও ঠিকমত পরেনি।

রেল বাজার হাটের ইজারাদার তৈয়ব চৌধুরী জানান, হাটের প্রবেশপথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রয়েছে। সাবান-পানির ব্যবস্থা রয়েছে। মাস্ক রয়েছে। মাইকিং করে স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তারপরেও অনেকে এগুলো মানছে না। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। কিন্তু যারা ক্রেতারা-বিক্রেতা, তারা যদি না মানে তবে আমাদের কি করার আছে।

দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২০ জুলাই পর্যন্ত হাট বসানোর অনুমতি দেয়া হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতারা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাবেচা করতে পারে, সেজন্য হাট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া রয়েছে। পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট্রের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত হাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এরপরও যদি হাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হয়, তবে প্রয়োজনে হাট বন্ধ করা দেয়া হবে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ