1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন

সিরাজদিখানে নিষিদ্ধ চায়না চাইয়ের ব্যবহার।। হুমকির মুখে মৎস্য সম্পদ!

মোহাম্মদ রোমান হাওলাদার
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৩ মার্চ, ২০২২
  • ১২১ বার

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে চলা ইছামতি নদীসহ ভিন্ন খাল বিলে চায়না চাই দিয়ে অবৈধ পন্থায় নির্বিচারে মৎস্য নিধন যজ্ঞ চালাচ্ছে অসাধু মৎস্য শিকারীরা। কারেন্ট জালের চেয়েও সুক্ষ্ম নিষিদ্ধ এ চায়না চাই থেকে রক্ষা পাচ্ছে না চুনু পুটি থেকে শুরু করে দেশীয় জাতের মাছসহ জলজ প্রাণীও। ফলে ক্রমশ উপজেলার নদী নালা খাল বিল সমূহ  মাছ শূন্য হয়ে পরছে।

এতে করে জাতীয় মৎস্য সম্পদ বিলুপ্তির চরম হুমকির সম্মূক্ষিন হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এক শ্রেণির মৎস্য শিকারীরা অবৈধ ভাবে চায়না চাই কিনে এনে  উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবাধে মাছ শিকার করে চলেছে। প্রায় প্রতিনিতই চায়না চাই দিয়ে মৎস্য নিধন কর্মযজ্ঞের দৃশ্য চোখে পড়ে। বর্তমানে  (শুকনো মৌসূম) উপজেলার খাল বিল সমূহ পানি শুণ্য থাকায় ইছামতী নদীর দুই তীরে খানিক পর পর চায়না চাইয়ের  ব্যবহার বেড়ে গেছে। ইছামতী নদী সলগ্ন গ্রামগুলোর কিছু সংখ্যক অসাধু মৎস্য শিকারী অবাধে নদীতে নির্বিচারে মৎস্য নিধন যজ্ঞ চালাচ্ছে। জাতীয় মৎস্য সম্পদ রক্ষায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক যথাযথ তদারকি ও অভিযান পরিচালনা না করায় অবৈধ এ চাইয়ের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় আইন থাকলেও উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তার তা প্রয়োগে ব্যর্থ হচ্ছেন।  এমনকি এনিয়ে তাদের তেমন মাথা ব্যথা নেই বললেই চলে।

তথ্য মতে, চায়না চাই সাধারণত এক থেকে দেড় ফুট উচ্চতা তথা ৬০ থেকে ৯০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ক্ষুদ্র ফাঁশ বিশিষ্ট ঢলুক আকৃতির হয়ে থাকে। লোহার ৪টি রড ও রডের রিং দিয়ে খোঁপ খোঁপ আকারে বাক্স তৈরি করে চারপাশ সুক্ষ্ম জাল দিয়ে ঘেড়াও করে তৈরি করা হয়। এই চাইয়ে বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো  নদী ও খাল বিলের পানির তলদেশে লম্বা  ভাবে লেগে থাকে। ফলে দুদিক থেকেই মাছ ঢুকে আটকে পরে। তবে কেউ কেউ অতিরিক্ত মাছের আশায় ঘ্রাণ জাতীয় খাবার চাইয়ের ভিতরে দিয়ে থাকে। এক একটি চায়না চাইয়ের দাম, মান ভেদে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। ইছামতী নদী সংলগ্ন গ্রামের একাধিক ব্যক্তি বলেন, নদীতে এমনিতেই মাছ নেই তার উপর যদি তারা চায় না চাই নদীতে ফেলে তাহলে ভবিষ্য প্রজন্মের মানুষ নদীতে মাছের রেনু পোনাও দেখতে পারবে না। ভবিষ্যতের জন্য হলেও সরকারের এদিকটাতে নজর দেওয়া জরুরী হয়ে পরেছে।

এ ব্যপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ জাতীয় আরো সংবাদ