মোবাইল অপারেটররা ইন্টারনেটের দাম না কমালে সরকার কঠোর হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে রাজধানীর বিটিআরসি ভবনে ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস ২০২৫’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ কথা জানান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, মোবাইল কোম্পানিগুলো যাতে ইন্টারনেটের দাম কমায়, সে জন্য পর্যাপ্ত রেগুলেটরি ও বাস্তবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় অংশীজনেরা অংশগ্রহণ করেছেন। তবে যারা এখনো অংশগ্রহণ করেননি, তাদের অংশগ্রহণ করা উচিত।
তিনি বলেন, যদি মোবাইল অপারেটররা সহযোগিতা না করে, তাহলে তাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় যে নেগোসিয়েশনগুলো, সেগুলো তারা আলোচনার টেবিলে আনবেন। সেখানে অমীমাংসিত বকেয়াও উঠে আসবে। পারফরম্যান্স কেপিআইগুলোও তখন পর্যালোচনা করা হবে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, তারা কারও পথ ‘ব্লক’ করতে চান না। কিন্তু অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে তারা এমন একটা অবস্থানে পৌঁছাতে চান, যেখানে নাগরিকদের কম দামে মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়া যায়।
সরকার কিংবা বিটিআরসির অগ্রাধিকার ইন্টারনেটের দাম কমানো বলে উল্লেখ করেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী। তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেটের দাম রাতারাতি কমানো সম্ভব না।…এটা একটা এজেন্সির ওপর নির্ভর না, এটা পুরো ইন্ডাস্ট্রির ওপর নির্ভর করে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব (রুটিন) জহিরুল ইসলাম।
এর আগে বুধবার গ্রামীণফোনের ফোর-জি সেবা অন্তত ৪০ মিনিট বিঘ্নের বিষয়ে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, তারা অফিশিয়ালি অপারেটরটির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন। অপারেটরটি একটি কারিগরি অনুসন্ধান করছে বলে জানিয়েছে। সেটা শেষ হলে তারা এ বিষয়ে বলতে পারবেন।