স্বপ্নের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে লা লিগায় ক্যারিয়ারের প্রথম মৌসুমেই সবুজ গালিচায় রীতিমতো ঝড় তুলেছেন কিলিয়ান এমবাপে।
লিগে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পোলিশ তারকা রবার্ট লেভানদোভস্কির চেয়ে চার গোলে এগিয়ে থেকে সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে ফরাসি অধিনায়ক এরই মধ্যে নিশ্চিত করেছেন পিচিচি ট্রফি। তবে ২৬ বছর বয়সি এই ফরোয়ার্ডের স্বপ্ন আরও বড়। এই অর্জনেই থামতে চান না। জিততে চান ক্যারিয়ারের প্রথম গোল্ডেন বুটের ট্রফি। সে পথে খুব বেশি দূর পিছিয়ে নেই এমবাপে। ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট জেতার দৌড়ে এমবাপে পিছিয়ে আছেন কেবল অর্ধ পয়েন্টে। স্পোর্টিং লিসবনের ভিক্টর গিয়োকেরেসকে সেই পয়েন্টকে পেছনে ফেলতে পারলেই স্বপ্ন পূরণ হবে তার।
রিয়াল মাদ্রিদের সবচেয়ে সফল কোচ কার্লোস আনচেলত্তি ঠিকানা পাল্টালেও তার বিদায়ি ম্যাচটা এখনও বাকি। রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে শনিবার লিগের শেষ ম্যাচে শেষবারের মতো রিয়ালের ডাগআউটে বসবেন ইতালির সাবেক এই খেলোয়াড় ও কোচ। ফলে বিচ্ছেদের ম্যাচটি আনচেলত্তির জন্য বিশেষ কিছু বটে। কিন্তু গুরুর বিদায়কে ছাপিয়ে এমবাপের জন্য ম্যাচটি হতে যাচ্ছে মাইলফলক ছোঁয়ার। আগের ম্যাচে সেভিয়ার বিপক্ষে গোল করার পরই গোল্ডেন বুট জেতার জন্য এমবাপে যে মুখিয়ে আছেন সেটা পরিষ্কার করেছিলেন, ‘এটা শুধু গোলের হিসাব নয়, নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লড়াই।’
সোসিয়াদের বিপক্ষে এক গোল করেই তৃপ্ত থাকার সুযোগ নেই এমবাপের। লিভারপুলের হয়ে চলতি মৌসুমে ২৮ গোল করা মোহাম্মদ সালাহও রয়েছেন গোল্ডেন বুট জেতার দৌড়ে। এমবাপেকে ছাড়িয়ে যেতে একটি নয়, বরং দুটি সুযোগ পাবেন মিসরীয় ফরোয়ার্ড। তাই সোসিয়াদের বিপক্ষে লড়াইটা এমবাপের জন্য গোল করার অগ্নিপরীক্ষা বটে!
রোববার সেভিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত একটি গোল করলেও এমবাপে আত্মতৃপ্তিতে ভুগেননি। চোখেমুখে ছিল হতাশার ছাপ, আরও গোল করতে না পারার ক্ষোভ। বিশেষ করে নয়জনের দলে পরিণত হওয়া সেভিয়ার বিপক্ষে একাধিক সুযোগ নষ্ট করে নিজের প্রতি অবিচারই করেছিলেন। স্কোরশিটে কয়েকবার নাম তুলতে পারলে হয়তো এত হিসাবনিকাশের দিকে তাকে ঝুঁকতে হতো না।
এখন পর্যন্ত সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই মৌসুমে ৪১ গোল করেছেন এমবাপে। আগের মৌসুমে পিএসজির হয়ে ৪৪ ম্যাচে করেছিলেন ৪৪ গোল। এখন ক্লাব বিশ্বকাপ সামনে রেখে ওই রেকর্ড ভাঙার জন্য দরকার আর মাত্র তিনটি গোল। সেই মাইলফলকের ছুঁতেও মুখিয়ে থাকবেন রিয়াল ফরোয়ার্ড।