1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন

আলোচিত পায়েল হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

দিনলিপি নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১ নভেম্বর, ২০২০
  • ৩৩৪ বার

বাস থেকে ফেলে দিয়ে বহুল আলোচিত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ পঞ্চম সেমিষ্টারের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান পায়েল হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মৃত্যৃদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- হানিফ পরিবহনের বাসের সুপারভাইজার জনি, চালক জামাল হোসেন ও তার সহকারী ফয়সাল হোসেন।

রোববার (১ নভেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার আগে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে আসামিদের হাজির করা হয়।

চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসার পথে মুন্সিগঞ্জে বাস থেকে নেমে, আবারও ওঠার সময় দরজার আঘাতে আহত হন পায়েল। এ ঘটনার দায় এড়াতে তাকে হানিফ পরিবহনের হেলপার, ড্রাইভার ও সহকারী মিলে ব্রিজ থেকে ফেলে দেয় খালে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়- রাত ১১টায় চট্টগ্রামের একে খান হানিফ পরিবহনের ভলভো কাউন্টার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তিন বন্ধু পায়েল, শান্ত ও আদর। ঢাকায় পৌঁছে ঘুম ভেঙে দু’বন্ধু দেখতে পান বাসে পায়েল নেই। সুপারভাইজারের ব্যাখ্যা ছিলো পায়েল নিজেই মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় নেমে গেছে। ঘটনা ২০১৮ সালের ২১ জুলাইয়ের। দু’দিন পর মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার একটি খাল থেকে উদ্ধার হয় পায়েলের মরদেহ। এরমাঝে পরিবার অনেক খুঁজেও পায়েলকে না পেয়ে বন্ধুদের কথা মতো খোঁজ নেয় হানিফ কাউন্টারে। সুপারভাইজারের কথায় পাওয়া যায় গড়মিল।

পায়েলের বন্ধু আকিবুর রহমান আদর বলেন, ওরা আমাদের বলেছিলো পায়েল প্রস্রাব করতে নেমে গেছে। আর ওঠে নাই।

সেদিন ভোররাতে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় যানজটে আটকা পড়ে বাস। সেই সুযোগে প্রস্রাব করতে বাস থেকে নামেন পায়েল। কিন্তু সেটাই কাল হয় তার জন্য। যানজট পেরিয়ে বাস তখন চলতে শুরু করেছে। দৌড়ে বাসে উঠতে গিয়ে দরজায় ধাক্কা লেগে জ্ঞান হারান পায়েল। ঝামেলা এড়াতে চালক, সহকারী ও সুপারভাইজার মিলে ব্রিজের ওপর থেকে খালে ফেলে দেওয়া হয় তাকে।

পায়েল হত্যার বিচার দাবিতে সেসময় শুধু স্বজন ও বন্ধুরাই নন বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সর্বস্তরের মানুষ।

এই ঘটনায় পায়েলের মামার দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার করা হয় বাস চালক জামাল, সুপারভাইজার জনি এবং সহকারী ফয়সালকে। তারা আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দিও দেয়।

ময়নাতদন্ত রিপোর্ট মতে খালে ফেলার দেয়ার পরও বেঁচে ছিলেন পায়েল। জ্ঞান হারানোর পর আহত পায়েলকে হাসপাতালে নিলে বাঁচানো যেতো।

এ জাতীয় আরো সংবাদ