1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন

কচুর লতি বিক্রি করতে বাজারে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক!

দিনলিপি নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৫ মে, ২০২২
  • ১৯৩ বার

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের বাবুলের বাজারে লতি বিক্রি করতে গিয়েছিলেন অধ্যাপক ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স। কৃষিকে ভালোবেসে সাধারণ বিক্রেতাদের সারিতে বসে বিক্রি করায় আশ্চর্য হয়েছেন সবাই। তাৎক্ষণিক তার ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েলে ভাইরাল হয়। সবমহলে প্রশংসায় ভাসেন তিনি।শুক্রবার (১৩ মে) ওই বাজারে নিজের চাষ করা ১৬ কেজি লতি নিয়ে গিয়েছিলেন প্রিন্স। সবগুলো বিক্রিও করেছেন।

অধ্যাপক ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স জানান, তার দাদার বাড়ি বরিশালের ঝালকাঠির রাজাপুরে। প্রিন্সের বাবা ছিলেন একজন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা। বাবার চাকরির সুবাদে পরিবারসহ ঢাকায় আর্মি কলোনিতে থাকতেন প্রিন্স। ২০০২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। এরপর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এআইইউবি থেকে কৃষি ব্যবসায় এমবিএ ডিগ্রি নেন ২০০৮ সালে। এরপর ২০১৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল ও ২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন। বর্তমানে তিনি বরিশাল ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান।

তিনি বলেন, আমি পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস করছিলাম। কিন্তু কৃষির প্রতি ছোটবেলা থেকেই প্রচন্ড ভালোবাসা ছিল। আমরা ঢাকায় আর্মি কলোনিতে থাকাকালীন সময়ে মা শখ করে কিছু লাউগাছ লাগাতেন, হাঁস পালতেন। এগুলো আমার অনেক ভালো লাগত। এসব দৃশ্য এখনো চোখে ভাসে। ফলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শশুরবাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাঙামাটিয়া ইউনিয়নের হাতিলেইট গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে কৃষি করতে চলে আসি। ২০১৪ সালে এখানে ৮ একর জমিতে গড়ে তুলেছি কৃষি খামার। বেসরকারি ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বছরের ছয়মাস ছুটি নিয়ে খামারে কৃষিকাজ করি।

বাজারে নিজেই কচুর লতি বিক্রি করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিজের উৎপাদিত পণ্য নিজে বিক্রি করার মাঝে লজ্জার কিছু নেই। এজন্য স্থানীয় বাজারে ১৬ কেজি কচুর লতি নিয়ে গিয়েছিলাম। বাজারে বসে প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। তবে আমাকে এমন অবস্থায় দেখে অনেকে অবাক হয়েছেন। এটা ঠিক না। কারণ, আমরা সবাই মানুষ সেটাই বড় কথা।

প্রিন্স বলেন, কে কোন পর্যায়ে আছি সেটা বড় বিষয় না। এছাড়া নিজের উৎপাদিত পণ্য বাজারে বিক্রি করার মধ্যে লজ্জার কিছু নেই। কৃষিপ্রধান দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে আবাদি জমি কমে যাচ্ছে। বিষযুক্ত বিভিন্ন খাদ্যে সয়লাব বাজার। এজন্য বেকার শিক্ষিত যুবকসহ অন্যরা উদ্যোক্তা হিসেবে যেকোনো কৃষিকাজে সম্পৃক্ত হতে পারলে নিজের পাশাপাশি দেশেরও লাভ হবে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ