সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: ষাটের দশকে ছাত্র রাজনীতি থেকে দলের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতির হাতে খড়ি।পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের জেলার সর্বোচ্চ পদে আসীন হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এম.মনসুর আলীর স্নেহধন্য ছিলেন। দলের জন্য যেমন তিনি নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করে গেছেন দলও ঠিক তাকে সেভাবেই মূল্যায়ন করেছে। কাজীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থেকে ধাপে ধাপে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক, জেলা আওয়ামী লীগের দুই বারের সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির সদস্য এবং সর্বশেষ কাউন্সিলের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
দীর্ঘ ৬০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে একদিনের জন্যও অন্য কোন দলে যোগ দেন নাই। জেল জুলুম,নিপীড়ন নির্যাতন সহ্য করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে যেমন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এবং পরবর্তীতে তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। সমগ্র সিরাজগঞ্জ জেলায় আওয়ামী লীগ তথা রাজনীতির মাঠে একজন অভিভাবকের মর্যাদায় আসীন হয়েছেন । একজন আইনজীবী হিসেবে দলের কর্মীদের পাশে থেকেছেন। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির দায়িত্বশীল পদে থেকে মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তার মেয়ে হাসনা হেনা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের দুই বারের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান।
সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান দলের জন্য অনেক কিছু করেছেন দলও তাকে অনেক কিছু দিয়েছে। কিন্তু একটি আখ্যাপ থেকে গেছে,একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে এখন পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ পান নাই। এবার সামনের জেলা পরিষদ নির্বাচনে সমগ্র জেলার একজন বয়োজ্যেষ্ঠ রাজনীতিক হিসেবে এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতির জেলার অভিভাবক হিসেবে তাই এবার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। কে,এম হাসান মনে করেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে সমগ্র জেলার সংগঠন এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির সাথে তার সুসম্পর্ক রয়েছে।বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি জেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ‘গ্রাম হবে শহর’ এবং তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়নকে ছরিয়ে দিতে কিছুটা ভূমিকা রাখতে পারবো। সাথে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার ছয়টি আসনেই দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করে আনতে পারবো। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ওঠাবসা আছে। তাই প্রত্যেকটি এলাকার সমস্যা সমন্ধে ওয়াকিবাল। যে কারণে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারলে আমি সমগ্র জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছে দিতে পারব।
জীবনের শেষ প্রান্তে এসে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের জন্য, তৃণমূল মানুষের জন্য কিছু করে যাওয়ার ইচ্ছা। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে দেশ স্বাধীন করেছিলাম। আজ তার কন্যার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নে কিছুটা ভূমিকা রাখতে চাই ।
সিরাজগঞ্জের রাজনৈতিক মহলে এখন আলোচিত বিষয় কে হচ্ছেন জেলা পরিষদের পরবর্তী চেয়ারম্যান? সবারই ধারণা হয়তো জেলা আওয়ামী লীগের অভিভাবক হিসেবে এবার কে এম হাসানই পাবে দলীয় মনোনয়ন। দলের জন্য যিনি এত পরিশ্রম করেছেন দল নিশ্চয়ই মূল্যায়ন করবে। আরেকটি বিষয় কে এম হাসান মনোনয়ন পেলে দলে কোন বিভক্তি থাকবে না বলে মনে করেন নেতাকর্মীরা। সবাই এক হয়ে তাকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করে যাবে। যা দলের জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে । তাই এবারের সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা কে এম হোসেন আলী হাসান শক্ত প্রার্থী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছেন । তিনি ইতিমধ্যেই দলের মনোনয়ন লাভের জন্য কেন্দ্রীয় অফিস থেকে মনোনয়ন ফরম তুলে জমা দিয়েছেন। তার প্রত্যাশা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এবার তাকে অবশ্যই মূল্যায়ন করবেন। পরিশেষে তিনি একথাও বলেছেন আমাদের আশ্রয়ের শেষ ঠিকানা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নিবেন সেই সিদ্ধান্তই আমরা মাথা পেতে নেব এবং দলীয় প্রার্থীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করবো। আগামী জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা বাসীর কাছে দোয়া চান।