কতটা খারাপ খেলা যায়, তারই যেন প্রতিযোগিতা করেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স ও রংপুর রাইডার্স! আগে ব্যাট করা সিলেট ৫ উইকেট হারিয়েছিল মাত্র ৩৯ রানে। এরপর তাদের করা ১২০ রানের স্বল্প পুঁজির সামনেও রংপুরের টপ অর্ডাররা খাবি খেয়েছে। তারাও সমান ৩৯ রানে হারিয়ে বসেছিল ৬ উইকেট। যদিও সেখান থেকে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বাবর আজমের ফিফটি ও হজরতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ব্যাটে রংপুর ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে।
দশম বিপিএল আসরের ঢাকাপর্বের প্রায় ম্যাচে একটি বিষয় লক্ষ্যণীয়— তা হচ্ছে দিনের ম্যাচে স্বল্প রানের নজির। এরপর রাতের ম্যাচে টি-টোয়েন্টির মেজাজ ফিরতে দেখা যায়। এর আগে চলতি বিপিএলে সর্বনিম্ন ১২১ রান করে হেরেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এবার তাদের চেয়ে এক রান কম নিয়ে সর্বনিম্ন পুঁজি গড়ে সিলেট। সেই রানের ভেতরও তাদের বোলাররা ম্যাচটা কিছুটা হলেও জমিয়েছেন। সেখানে অবশ্য, ব্যাটারদের কৃতিত্ব নেই সেই যুক্তিও দেখানো কষ্টসাধ্য!
সাকিব আল হাসান-বিহীন রংপুরের হয়ে এদিন প্রথম ম্যাচ খেলতে নামেন বাবর। তার ব্যাটেই এসেছে দলটির প্রথম ম্যাচ জয়ের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস। ৪৯ বলে ৬টি চারের বাউন্ডারিতে পাকিস্তানি তারকা ৫৬ রান করেছেন। আরেক বিদেশি অলরাউন্ডার আফগানিস্তানের ওমরজাই ৩৫ বলে দুটি চার ও তিন ছক্কায় করেছেন ৪৭ রান। সিলেটের হয়ে ২০ রান খরচায় সর্বোচ্চ তিন উইকেট পেয়েছেন লঙ্কান স্পিনার দুশান হেমন্থ।
এর আগে সিলেটের স্বল্প পুঁজি তাড়ায় রংপুরও শুরু থেকেই লেজেগোবরে পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলে। ওপেনার রনি তালুকদারকে দিয়ে শুরু, রিচার্ড এনগারাবার বুক সমান উঁচু বল খেলতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৬ রানে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। এরপর নাজমুল ইসলাম অপুর বলে রানের (৫ বল) খাতা খোলার আগেই বোল্ড ব্রেন্ডন কিং। এরপর বলার মতো রান পাননি অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান, শামিম পাটোয়ারী, মোহাম্মদ নবি ও শেখ মেহেদীরা। তাদের কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।
তানজিম সাকিবের বলে ৮ রানে ফিরেছেন সোহান। বাকি তিন ব্যাটারই হেমন্থের বলে এলবিডব্লু’র ফাঁদে পড়েন। শামিম ২ এবং নবি-মেহেদী আউট হন শূন্য রানে। এরপর রংপুরকে বিপদে পড়া গর্ত থেকে টেনে সামনে নিয়েছেন বাবর-ওমরজাই জুটি। সেই জুটিই শেষ পর্যন্ত রংপুরের জয় নিশ্চিত করে ওঠে। ৬৮ বলে এই জুটিতে আসে ৮৬ রান।
রংপুরের বিপক্ষে মাশরাফিদের মান বাঁচানো পুঁজি
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে চরম ব্যাটিং-বিপর্যয় দেখিয়েছে সিলেট। বেনি হাওয়েল ৪৩ এবং বেন কাটিংয়ের ৩১ রানের সুবাদে তারা নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১২০ রান তুলতে সক্ষম হয়। এছাড়া নাজমুল শান্ত’র ১৪ রান ছাড়া বাকি কেউ দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেননি। রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট পেয়েছেন শেখ মেহেদী ও রিপন মন্ডল।