1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও আমার কিছু কথা।। মোহাম্মদ রোমান হাওলাদার

দিনলিপি নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১৩ বার

২৮ ফেব্রুয়ারী অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডিসি ক্রাইম বার্তা পত্রিকায় “ঝিকুট ফাউন্ডেশন ও সাংবাদিক’কে কটূক্তির অভিযোগে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা” শিরোনামে ও একই শিরোনামে অনলাইন নিউজ পোর্টাল দৈনিক মুক্তি সমাচার পত্রিকাসহ বেশ কয়েকটি অনলাইন ও দৈনিক পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যা আমার নজরে এসেছে। প্রকাশিত সংবাদ সমূহে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাবেক সাংবাদিক ইকবাল হোসেন ইকুর বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও কটূক্তির অভিযোগ এনে সাইবার নিরাপত্তা আইনে আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়টি সত্য। তবে মামলার এজাহারের বরাদ দিয়ে প্রকাশিত সংবাদে আমার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে বিষয় সমূহ উদ্দেশ্য প্রনোদিত মনগড়া, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বটে। সংবাদ সমূহে আমাকে অভিযুক্ত করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর পোস্ট আমার ফেসবুক আইডি থেকে প্রচার করে থাকি মর্মে বলা হয়েছে। আমি পেশাগত ভাবে সাংবাদিকতা করি। সেক্ষেত্রে সংবাদ প্রকাশ করাই আমার কাজ। সংবাদের পেপার কাটিং যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে পোষ্ট করা হয় নিশ্চয়ই সেটি অপপ্রচার নয়। যে পোষ্টের সূত্র ধরে আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে আমার করা সে পোষ্টটি সামাজিক সংগঠন ঝিকুট ফাউন্ডেশন সংগঠনের বিরুদ্ধে নয় বরং একক ইকবাল হোসেন ইকুর বিরুদ্ধে। প্রকাশিত সংবাদ সমূহে নারী কেলেঙ্কারীর কারণে আমাকে ১ বছর ও মাদক সেবনের দায়ে ২৮ দিন ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে হাজত বাসের কথা বলা হয়। প্রকৃত পক্ষে ২০১৬ সালে যে মামলাটি আমার বিরুদ্ধে হয়েছিলো সে মামলায় সাংবাদিকদের আন্ত কোন্দলের কারণে ইকবাল হোসেন ইকুসহ তার সহযোগীরা মিলে আমাকে স্বড়যন্ত্র করে আসামী করে হাজতে পাঠিয়েছিলো এবং সেটি কোন নারী কেলেঙ্কারীর মামলা ছিলো না সেটি ছিলো এটেম্প-টু মার্ডার মামলা। যে মামলায় বিচার শেষে আমি বেকসুর খালাস পাই। যার কাগজপত্র আমার কাছে আছে। সংবাদে মাদক সেবনের দায়ে ভ্রাম্যমান আদালতের যে ঘটনাটির কথা উল্লেখ করা হয় সে ঘটনার পিছনে কারা খলনায়ক ছিলো এবং কেন আমাকে ২৮ দিন কারাভোগ করতে হয়েছিলো সেটি সিরাজদিখানের জণসাধারণসহ পুরো মুন্সীগঞ্জের সাংবাদিকরা বেশ ভালোভাবেই অবগত আছেন।এছাড়া প্রকাশিত সংবাদে আমাকে চুরি, চাঁদাবাজীর অভিযোগে অভিযুক্ত দেখানো হয়। মামলার বাদী ও সংবাদের প্রদিবেদককে চ্যালেঞ্জ করছি আমার বিরুদ্ধে চুরি, চাঁদাবাজীর অভিযোগ তুললেন কোন তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এবং সেই তথ্য প্রমান সংগ্রহে রাইখেন আপনাদেরকেও আইনের কাছে জবাব দিহি করতে হতে পারে! সংবাদে উল্লেখিত চুরি ও চাঁদাবাজীর অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভিত্তিহীন মিথ্যা ও বানোয়াট। প্রকৃত পক্ষে থানা কিংবা কোর্টে আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের কোন মামলা নেই। স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে আন্ত কোন্দল দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে এ কথা সিরাজদিখানের সব মানুষই অবগত আছেন।

সাংবাদিকদের মধ্যে আন্ত কোন্দলের জেরে আমাকে একাধিকবার এর বলি হতে হয়েছে। মামলার বাদী ইকবাল হোসেন ইকুর স্বড়যন্ত্র করে সাংবাদিকদের মধ্যে একটা পক্ষকে আমার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে হয়রানী করাসহ সামাজিক, পারিবারিক ও আর্থিক ভাবে আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে আসছে। এমনকি আমার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের ক্ষেপিয়ে তুলে মিথ্যা সংবাদও প্রকাশ করিয়েছে সে। সে যদি ফেরেশতা হয়ে থাকে তাহলে তাকে দৈনিক সংবাদ পত্রিকা থেকে চাকুরীচ্যুত কেন করা হলো? কেন সে সিরাজদিখানের তার নিজ বাড়ী ছেরে ৫ বছর পালিয়ে ঢাকায় গিয়ে রইলো? এসব প্রশ্ন কি কখনো কেউ ভেবে দেখেছেন কেউ?
এছাড়া সংবাদে উল্লেখিত বর্তমান প্রেসক্লাবের সভাপতি মোক্তারের ক্যামেরা চুরির বিষয় উল্লেখ করা হয়। সভাপতির প্রতি প্রশ্ন রেখে বলতে চাই, আপনার ক্যামেরা কি কেউ চুরি করেছিলো নাকি আপনিই আপনার কাজের জন্য আমাকে ব্যবহারের জন্য দিয়েছিলেন? যদি তার ক্যামেরা চুরি হয়ে থাকতো তাহলে সেই ক্যামেরা অন্য সহকর্মী সাংবাদিক ব্যবহার করে কি করে? এছাড়া সংবাদে সিরাজদিখান প্রেসক্লাব থেকে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নাকি থানায় দরখাস্ত দেওয়া আছে? আচ্ছা আমি কি সিরাজিদখান প্রেসক্লাবের কোন সদস্য যে প্রেসক্লাব থেকে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দরখাস্ত দেওয়া হবে? যদি দিয়েও থাকে তাহলে সেই দরখাস্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার হলো না কেন? থানায় দরখাস্তের বিষয়টি নিতান্তই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এমন কোন দরখাস্ত থানায় জমা নেই! মামলার বাদী হয়তো সেই দরখাস্তের কথা স্বপ্নে দেখে ঘুমের ঘোরে মামলায় উল্লেখ করে ফেলেছেন। এদিকে প্রকাশিত সংবাদ সমূহে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার অপরাধে আমার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার কথা বলা হয়। হ্যা আমার বিরুদ্ধে মামলা হয় ঠিক তবে সেই মামলা সহকারী কমিশনার ভূমি নিজেই প্রত্যাহার করে নেন। সব শেষ না বললেই নয় এমন দুটি পত্রিকায় আমাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হলো। যে পত্রিকার দুটিতে আমার সাথে যোগাযোগ না করেই আমার বক্তব্য লিখে দেওয়া হয়েছে! স্থানীয় বেশ কয়েকজন কতিপয় সাংবাদিকসহ ইকবাল হোসেন ইকু আমাকে সামাজিক পারিবারিক ও আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করারসহ আমার ব্যক্তি সম্মান ক্ষুন্ন করে আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্নের মাধ্যমে কোনঠাসা করে রাখার এহেন উদ্দেশ্যে সাংবাদিকদের মিথ্যা ও ভিত্তীহিন তথ্য প্রদান করে সংবাদ সমূহ প্রকাশ করিয়েছে বলে আমি মনে করি। তাই প্রকাশিত আংশিক সত্য ও শিংহভাগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী
মোহাম্মদ রোমান হাওলাদার

এ জাতীয় আরো সংবাদ