বাংলাদেশের দক্ষিণবঙ্গখ্যাত বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা একদা যাতায়াতের জন্য নদীপথ তথা লঞ্চের উপরই নির্ভরশীল ছিল বেশি। কিন্তু স্বপ্নের পদ্মা সেতু হবার পর এক নুতন দীগন্ত শুরু হয়। পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার পর খুব কম সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে পৌছানো যাচ্ছে ফলে দক্ষিণ বঙ্গের মানুষজন সড়কপথে বাস যাত্রায় অধিক আগ্রহী হয়ে উঠছে, নিত্য নুতন আধুনিক বাস সড়কে সংযোজন হচ্ছে, পন্যবাহী ট্রাক ও লরী চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সড়কগুলো সেই পুরোনো দুই লেন বিশিষ্ট যা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিদিন কোথাও না কোথাও দুর্ঘটনা ঘটছে, নিহত হচ্ছে শতশত মানুষ,কেউবা পঙ্গুত্ব বরণ করে জীবন যাপন করছে। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত , পায়রা সমুদ্র বন্দর, পটুয়াখালী সেনানিবাস দক্ষিণবঙ্গে অবস্থিত এমতাবস্থায় স্বল্প সময়ে যাতায়াতের জন্য সবাই সড়ক পথে মৃত্যুঝুকি নিয়ে চলাচল করছে। সামনে ঈদ, ঈদের ছুটিতে সবাই গ্রামমুখী হবে, সেক্ষেত্রে পরিবহন মালিক, শ্রমিক, ড্রাইভার সকলকে খুব সতর্ক থাকতে হবে, অতিরিক্ত যাত্রী ও বেপরোয়া গতি দুর্ঘটনার জন্য অনেকাংশে দায়ী, মনে রাখতে হবে, সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি, একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না।
বিভিন্ন বাস ড্রাইভার ও যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সরু সড়ক, দ্রুত গতির দূরপাল্লার পরিবহন ও মহাসড়কে ছোট ছোট অটো ভ্যান, টেম্পু চলাচলের কারণে অহরহ দুর্ঘটনা হচ্ছে। সবাই জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানান, ফরিদপুর ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত চার লেন সড়ক নির্মাণের জোর দাবী জানান।