পেট্রোবাংলার প্রধান কার্যালয়ে (পেট্রোসেন্টার) হামলার ঘটনায় পেট্রোবাংলার ৪ কর্মকর্তা ও ১ কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
পাশাপাশি গ্যাস বিতরণ সংস্থা তিতাসের মহাব্যবস্থাপক পর্যায়ের এক কর্মকর্তাকে অবনতি দিয়ে উপমহাব্যবস্থাপক করা হয়েছে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির উশৃঙ্খল কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হামলায় সহায়তা করার অভিযোগ করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে বিক্ষুব্ধরা কারওয়ান বাজারে অবস্থিত পেট্রোবাংলার প্রধান কার্যালয় পেট্রোসেন্টারের নিচতলায় ভাঙচুর করে। বাধা দিতে গেলে পেট্রোবাংলার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপরও হামলা করা হয়। তিতাস গ্যাসের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত এমডি শাহনেওয়াজ পারভেজের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে ওই ঘটনার সূত্রপাত হয়।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার কর্মকর্তারা হলেন, ডিজিএম (সেবা) আব্দুল জলিল, ডিজিএম (অনুসন্ধান ও সমীক্ষা) তারিকুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মো. সাইফুদ্দিন ও ব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা প্রকৌশল) ফজলুল হক এবং উচ্চমান সহকারি (প্রশাসন বিভাগ) নজরুল ইসলাম। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদেরকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান হয়েছে।
তিতাসের যে কর্মকর্তাকে পদাবনতি দিয়ে উপমহাব্যবস্থাপক করা হয়েছে, তিনি হলেন মহাব্যবস্থাপক (কারিগরি ক্যাডার) মো. হেলালউদ্দিন তালুকদার।
অন্যদিকে তিতাসের চিহ্নিত ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করার জন্য বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার।
রাষ্ট্রায়ত্ত এ প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা বলছেন, নতুন এমডি দায়িত্ব নিলে তিতাসের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা নিজেদের অপকর্ম ফাঁস হওয়ার ভয়ে ভীত হয়ে পড়েন।
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ মোল্লাহর চুক্তি ৯ সেপ্টেম্বর বাতিল করে দেয় মন্ত্রণালয়। এরপর গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজকে তিতাস গ্যাসে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়।