বিএনপি’র দুর্নীতিবাজ ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িতদের তথ্য সরকারের কাছে আছে, এসব তথ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ বুধবার সকালে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে ‘সেরা করদাতা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি বাংলাদেশকে পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ অর্থাৎ কালো টাকা বেগম খালেদা জিয়া জরিমানা দিয়ে সাদা করেছেন। বিএনপির অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান যিনি ন্যায়-নীতির কথা বলতেন, তিনি নিজেই কালো টাকা সাদা করেছেন।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতি বিদেশেও উদঘাটিত হয়েছে। তারেক জিয়ার দুর্নীতির বিষয়ে দেশে এসে এফবিআই সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। খালেদা জিয়ার প্রয়াত পুত্র কোকোর দুর্নীতিও উদঘাটিত হয়েছে। কোকোর দুর্নীতির মাধ্যমে পাচার করা টাকা দেশে ফেরত আনা হয়েছে। তাদের সারা অঙ্গে দুর্নীতি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার কোন নৈতিক অধিকার তাদের নেই।
বিএনপির পক্ষ থেকে চলমান শুদ্ধি অভিযানকে আইওয়াশ বলে উল্লেখ করা প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখনও তো বিএনপির যারা দুর্নীতিবাজ, তাদের ধরা হয়নি। সেজন্য হয়তো তারা এমনটা মনে করছে। বিএনপির যারা দুর্নীতিগ্রস্ত, যারা দুর্নীতির মাধ্যমে অনেক কিছু অর্জন করেছে এবং সরকার, দেশ ও জনগণকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে, সেই তথ্য সরকারের কাছে আছে। এগুলো নিয়েও সরকার নিশ্চয়ই কাজ করছে।
সরকারের ব্যর্থতার কারণে ট্রেন দুর্ঘটনা- বিএনপির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এই দুর্ঘটনা কেন ঘটেছে সেটা ইতিমধ্যে পত্রিকায় এসেছে। প্রাথমিকভাবে আমরা জেনেছি, চালকের ভুলের কারণে, সিগন্যাল অমান্য করায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনার তদন্ত হচ্ছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সবকিছুর মধ্যে রাজনীতি খোঁজার, বিএনপির যে অভ্যাস সেটি তাদের রাজনৈতিক দৈন্যতা ছাড়া কিছুই নয়। সবকিছুর মধ্যে রাজনীতি খোঁজা সঠিক নয়। বরং যারা আহত হয়েছে তাদের পাশে দাঁড়ানো হচ্ছে রাজনীতিবিদদের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য। যারা আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের পাশে দাঁড়াতে আমাদের দলের নেতাকর্মীদের বলা হয়েছে।
কেউ আওয়ামী লীগে যোগ দিলেই তাকে অনুপ্রবেশকারী বলা যাবে না উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে গণসংগঠন। এখানে অন্য দল থেকে যোগ দিতে পারবে না, এমনটা নয়। যে কোন দল থেকে যোগ দিতে পারে। তবে অবশ্যই তাকে আওয়ামী লীগের নীতি আদর্শে বিশ্বাসী হতে হবে। কোন যুদ্ধাপরাধী বা যুদ্ধাপরাধীর দলের সঙ্গে জড়িত কাউকে দলে নেওয়া সমুচিত নয়। যারা নানাভাবে অপকর্মের সাথে যুক্ত, কিংবা আমাদের দলের বিরুদ্ধে, নেতাকর্মীদের নির্যাতনে জড়িত, তাদেরকে আমাদের দলে নেয়া উচিত নয়। অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপারে যে তালিকাটা হয়েছে সেটা প্রাথমিক তালিকা। সেটা যাছাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।