গত ১৬ নভেম্বর (শনিবার) দুপুরে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ অস্ট্রেলিয়া জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে সিডনির একটি ফাংশন সেন্টারে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। এই সভায় সফররত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি প্রধান অতিথি এবং অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সুফিউর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়া’র সভাপতি সিরাজুল হক এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক পিএস চুন্নুর সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে ৩ নভেম্বরে শহীদ মহান চার জাতীয় নেতার প্রতি সম্মান জানিয়ে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় এই সম্মানিত চার নেতা বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছেন এবং দেশের প্রতি ছিলো তাদের সীমাহীন ভালোবাসা। তিনি আরো বলেন, ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের ঘাতকরা একই সুঁতোয় গাঁথা, তারা চেয়েছিলো মহান নেতাদের হত্যা করলে তাঁদের আদর্শও হত্যা করা যাবে। কিন্তু এটা প্রমাণিত হয়েছে মহান আদর্শ কখনও হত্যা করা যায় না।
বিশেষ অতিথি হিসাবে রাষ্ট্রদূত সুফিউর রহমান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন সারা দুনিয়ায় একটি জোয়ার আনতে পেরেছে। চার নেতার হত্যা বঙ্গবন্ধু হত্যার ধারাবাহিকতা এবং স্বাধীনতার চেতনাকে মুছে ফেলাই ছিল এই হত্যার মূল উদ্দেশ্য।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে সিরাজুল হক বলেন, হত্যা করে সব সময় মেরে ফেলা যায় না। তার প্রমাণ আজকের এই দিনটি।এই মহান চার নেতার প্রতি আমাদের এই শ্রদ্ধা নিবদেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়া, সিডনি শাখার সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আজাদ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান চার নেতার জীবন ও আদর্শ ছিলো এক অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে অটুট। তাঁদের আত্মত্যাগের মহিমায় জাতি হিসেবে আমরা মহিমান্বিত এবং তাদের আদর্শায়িত পথে আওয়ামী লীগের রাজনীতি। আজকের দিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক আমরা যেনো তাঁদের আদর্শ থেকে সরে না যাই।
ম্যাকুইরি ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ডক্টর রফিকুল ইসলাম জাতীয় চার নেতার প্রতি সন্মান জানান এবং প্রয়াত জাতীয় নেতা কামরুজ্জামানের পরিবারের সাথে সখ্যতার কথা তুলে ধরে আরও বলেন, দুর্নীতি এড়াতে পারলে সরকারের উন্নয়ন আরো টেকসই হতো। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মোল্লা, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের পারভীন খায়ের প্রমুখ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়া’র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান কচি, মোহাম্মদ আলী সিকদার, একে এম হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মোসলেউর রহমান খুসবু, দিনলিপি নিউজ ডটকমের চেয়ারম্যান এস এম দিদার হোসেন, আইন সম্পাদক রিজভী শাওন, কোষাধক্ষ্য মোহাম্মদ আশরাফুল আলম লাবু, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক আবুল বাশার রিপন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সিডনি শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নির্মল কস্তা, সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন লাল্টু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রোহান, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম, মো. জাহিদ হোসেন, জুয়েল হাওলাদার, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক বকুল খান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ অস্ট্রেলিয়া’র সভাপতি জাকারিয়া আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।