1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪, ০৪:০৩ অপরাহ্ন

ঘুরে আসুন নীলগিরি

দিনলিপি নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৯
  • ১৩৩৬ বার

অনেকেই মেঘের সৌন্দর্য উপভোগ করতে হাজার হাজার টাকা খরচ করে প্রতিবেশী দেশে যান দার্জিলিং দেখতে। কিন্তু আমাদের এ নীলগিরি রূপ-মাধুর্যে ওপারের দার্জিলিংয়ের চেয়ে কম কিসে? কী নেই আমাদের নীলগিরিতে। প্রকৃতি যেন তার সবটুকু সৌন্দর্যের ডালি নিয়ে বসে পর্যটক মনে আনন্দ দিতে। বিশ্বাস না হলে পরিবার নিয়ে ঘুরেই আসুন না বাংলার দার্জিলিংখ্যাত বান্দরবান থেকে। নীলগিরি ছাড়া বান্দরবানে বগালেক, চিম্বুক পাহাড়, নীলাচল, শৈলপ্রপাত, পাহাড় চূড়ার স্বর্ণমন্দিরসহ আরও অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। সবই দেখার মতো। একেকটির সৌন্দর্য একেক রকম। তবে সব ছাপিয়ে নীলগিরির সৌন্দর্যই যেন বেশি কাছে টানে পর্যটকদের।

পাহাড়ের গোড়া থেকে চূড়া অবধি সবুজের চাদরে মোড়া। খারা পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে জুম চাষ পদ্ধতিতে জাম্বুরা, পেঁপে, জলপাই, আম, কাঁঠাল, কমলালেবু, কলা, আনারস ও পেয়ারার বন সৃজন করেছেন পাহাড়ি ললনারা। নীলগিরি গেলে পথে প্রথমেই চোখে পড়ে পাথুরে ঝরনা শৈলপ্রপাত, পরে চিম্বুক পাহাড়। দু’টোই দেখার মতো। একসঙ্গে পাহাড়, নদী, সমুদ্র, ঝরনাধারা, বন-বনানীর সৌন্দর্যের দেখা মিলে বাংলার দার্জিলিংখ্যাত চিম্বুক পাহাড়ে উঠলে। দক্ষিণে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত দেখা যায়।

রোদ, এই মেঘ, এই বৃষ্টি এই হল নীলগিরি। ভূমি থেকে এর উচ্চতা ৩ হাজার ফুট। উচ্চতার কারণে শীত-বর্ষায় বান্দরবান বেড়ানোর সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা এটি। অবশ্য বান্দরবানে প্রায় সারা বছরই কম-বেশি বৃষ্টি থাকে। এ কারণে প্রায় সারা বছরই বান্দরবানে মেঘের মেলা বসে। বর্ষায় একটু বেশি মেঘের দেখা মেলে। নীলগিরি আগের থেকে অনেক সুন্দর হয়েছে।পর্যটকদের সুবিধার্থে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। নতুন করে সাজিয়েছে সেনাবাহিনী।

পর্যটকদের সুবিধার্থে পাহাড়ের ঢালে নতুন একটি রেস্টুরেন্ট তৈরি করা হয়েছে। এখানে বসে খেতে খেতে ডানে-বাঁয়ে চোখ বুলালে দূর-বহুদূরে দেখা যায় দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাহাড় কেওক্রাডং, পাহাড় চূড়ার বগা লেক, কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকত ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর। রেস্টুরেন্ট ছাড়াও পার্কিং এলাকা থেকে নীলগিরি চূড়ায় হেঁটে ওঠার জন্য নান্দনিক কারুকাযে তৈরি করা হচ্ছে ওয়াক ওয়ে। নানা রং ও ঢংয়ে পাহাড় কেটে তৈরি করা হয়েছে কয়েকটি প্রশস্ত চত্বর। এগুলোর মাঝে বসানো হয়েছে নজরকাড়া নকশায় অনেক বসার বেঞ্চ ও শেড। এগুলোতে বসে প্রিয়জনের সঙ্গে গল্প করে কাটিয়ে দেয়া যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

কীভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে বান্দরবান যাওয়ার জন্য উন্নতমানের অনেক এসি-ননএসি বাস সার্ভিস রয়েছে। হানিফ, শ্যামলী, সৌদিয়া, ইউনিক, ঈগল, সেইন্ট মার্টিন পরিবহন, ডলফিন পরিবহন ইত্যাদি। ভাড়া ননএসি ৬০০ থেকে ৬২০ টাকা। এসি ৯০০ টাকা। সুবিধামতো এগুলোর যে কোনোটি বেছে নিতে পারেন আপনার জন্য। বান্দরবান পৌঁছে নীলগিরি যাওয়ার বাহনের বিষয়ে আগেই বলেছি। হ্যাঁ, চান্দের গাড়ি। নীলগিরি পর্যন্ত এ গাড়ির ভাড়া ৪ হাজার টাকা। এর সঙ্গে নীলগিরিতে ৩০০ টাকা পার্কিং চার্জ গুনতে হবে।

কোথায় থাকবেন: নীলগিরিতে রাতযাপনের জন্য সেনাবাহিনী পরিচালিত মেঘদূত, আকাশনীলা, নীলাঙ্গনা, হেতকরা রাইচা, মারমা রাইচা নামের আকর্ষণীয় কয়েকটি কটেজ রয়েছে। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত এসব কটেজে অবস্থান ও রাতযাপনের জন্য সেনাবাহিনীর বান্দরবান ব্রিগেড হেডকোয়ার্টারের সঙ্গে আগাম যোগাযোগ করতে হয়। ভাড়াট ৪ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। ভাড়া একটু বেশি পড়লেও এতে থাকার মজাই আলাদা। তবে চিন্তা নেই। বান্দরবান শহরে রয়েছে থাকার জন্য আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা সংবলিত প্রচুর ভালো মানের হোটেল। সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে রুম ভাড়ায়ও তারতম্য ঘটে এসব হোটেলে। সেটা ৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকা বা কোথাও কোথাও তারও বেশি হতে পারে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ