এতদিন ধরে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা না হলেও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন। ডেঙ্গুতে এত মানুষের মৃত্যুর জন্য প্রশাসনের ধীরগতিকে দায়ী করেছেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মালদহ জেলার এক প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর এই সংখ্যা জানান। আরও সতর্ক থাকলে মৃত্যু অনেকটা ঠেকানো যেত এবং সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। বেসরকারির বদলে ভরসা রাখতে বলেন সরকারি হাসপাতালে।
গত কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করলেও প্রথম থেকেই রাজ্য সরকার মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাতে চাচ্ছিল না। এমনকি চলতি বছরে কিছু ক্ষেত্রে এমনও হয়েছে যে, ডেঙ্গুতে মৃত্যু হলেও পরে মৃত্যু সনদে (ডেথ সার্টিফিকেট) অন্য কারণ দেখানো হয়েছে।
গত সোমবার কলকাতার লেক টাউনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিন বছরের এক শিশুর মৃত্যুর পরও কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, ‘মাত্রাতিরিক্ত ফ্লুইড দেয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।’ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর বলছে, ‘মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য এখন এ সংক্রান্ত যাবতীয় বিভ্রান্তি দূর করবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, ‘পূজার সময় আরও সতর্ক থাকলে ডেঙ্গুতে মৃত্যু অনেকটা ঠেকানো যেত। আমরা সাধ্যমতো ডেঙ্গু মোকাবিলার চেষ্টা করছি। তাই বছরে নয় মাস প্রচার চালানো হচ্ছে। তবে ডেঙ্গু প্রতি বছর তার চরিত্র বদল করায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’
সাধারণ মানুষের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘জ্বর হলে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন। বিভিন্ন নার্সিংহোমের চেয়ে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। মশা নিধনে মালদহ জেলার প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে দুই পৌরসভার প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করার নির্দেশ দেন তিনি।