বান্ধবীর সঙ্গে বাজি ধরে সাঁতার কাটতে গিয়ে বরিশালের দুর্গাসাগর দিঘিতে নিখোঁজ ঢাকার আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
বুধবার (২০ নভেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে তার মরদেহ খুঁজে পায় ডুবুরি দল। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশার পর্যটনস্পট দুর্গাসাগর দিঘিতে বান্ধবীর সঙ্গে বাজি ধরে সাঁতার কাটতে গিয়ে পানিতে ডুবে যান ওমর ফারুক।
হৃদয় বরিশাল নগরীর কাউনিয়া হাউজিং এলাকার বাসিন্দা মো. শাহ আলমের ছেলে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুর রহমান মুকুল জানান, রাত পৌনে ৯টার দিকে পানির নিচে হৃদয়ের মরদেহ খুঁজে পায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এরপর স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
দুর্গাসাগরে দায়িত্বরত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মচারী মো. অলি বলেন, হৃদয় তার এক বান্ধবী ও বন্ধুর সঙ্গে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুর্গাসাগর দিঘি ঘুরে দেখতে আসেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হৃদয়ের বন্ধু ও বান্ধবী জানায়, সে (হৃদয়) সাঁতরে দিঘির মাঝখানে উঁচু জমিতে যাচ্ছিল। কিন্তু তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য কর্মচারীদের নিয়ে নৌকায় করে দিঘির মাঝখানে পৌঁছান। কিন্তু সেখানে হৃদয়কে না পেয়ে তারা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।
তিনি আরও বলেন, বন্ধু ও বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হৃদয় সাঁতার কেটে দিঘির মাঝে থাকা উঁচু জমিতে পৌঁছাতে পারবে বলে তাদের সঙ্গে ২০০ টাকা বাজি ধরেছিল। এরপর সে জামা-প্যান্ট খুলে লুঙ্গি পরে দক্ষিণ পাড় থেকে সাঁতার শুরু করে। অর্ধেক যাওয়ার পর হৃদয় হাত উঁচিয়ে বন্ধুদের কী যেন বলছিল। এরপর তাকে আর দেখা যায়নি। হৃদয় দিঘির মাঝখানের উঁচু জমিতে পৌঁছার আগেই ডুবে যান। দুপুরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তার সন্ধানে তল্লাশি শুরু করে। প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা চেষ্টার পর হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধার হয়।