আহা কিছু কি বলব, যা বলব তা আসে না স্বপ্নের পক্ষপাতে,
তুমি কেড়ে নিতে জানো সসার গতিতে অরুদ্ধ সকাল,
তোমার জল চাই পিপাসার, বর্ষায় না হোক খরার,
তোমার জ্বালানি চাই গ্রীষ্মে না হোক শীতে
আমার ও তো কিছু চাই,
আমি কি নির্বোধ ,তাড়া খাওয়া উদ্বাস্তু পাগল ?
আমি ঋতু বুঝে জলের জন্য অপেক্ষা করি,
যখন খুব বৃষ্টি নেমে আসে,
সূর্য্যের জ্বলা থেকে আলোক ও বৃক্ষের ছায়া চিনি,
বুক ভরতি পীপায় সযত্ন সংরক্ষণ রাখি উত্তাপ এবং শীতলতার।
তোমার আগ্রাসন নীতির চাপায়,
আমার চোখ ভর্তি স্বপ্ন ছিঁড়ে খারখার,
বুকের ডাঙায় নিঃশ্বাসহীন মাছ তপড়ায়,
আরও ভূমি চাও ক্রমাগত,
মরে যাবো একেবারে, ছেড়ে দেব ইঞ্চি ভূমি বিনা রক্তপাতে?
আমি কি এমনই অকৃতজ্ঞ বেঈমান ?
তুমি যখন তখন হুটহাট আসো, ফুটফাট গুলি চালানো স্বভাব দোষ,
আমার লাশ ঝোলে কাঁটাতারে। শেঁকড় ওপারে অথচ তোমার ডাল-পালা ভেতর ও বাহির,
আমি দেখি আপাদমস্তক তোমার শরীর।
পছন্দ হলো না বলে, মাটি থেকে উপড়ে ফ্যালো জীবন্ত চারা গাছটাকে,
এইতো সেদিন জল, জ্বালানি, অরণ্যের কথা বলেছি বলে, কি ভীষণ পেটানো হলো আমাকে।
বিষধর সাপের নীল চুম্বনে ঢাকা ছিল আমার গোটা যুবক শরীর।
তুমি খুব জেদী, শুধু চাইতে জানো,
তুমি কি যে সব উল্টাপাল্টা বায়না ধরো,
ব্যক্তিগত রাজ্য পাঠ য্যানো, আমার ও তো কিছু চাই।
মন মতো না হলে,তোমার মেঘে নামে বজ্র, নিষ্ঠুর ঘূর্ণিঝড়, সংকেতের সমুদ্র,
তুমি খুব সহজেই কাছে আসো, পাল্টে দিয়ে যাও যখন তখন,
তোমার মতে হবে ব্যাকরণ,
আমি ঘুমহীন, বিষ্ময় নির্বাক।
আমি কি ভুলেছি, আমার মর্মর ইতিহাস, স্বাধীন সীলমোহর?
শুদ্ধ – অশুদ্ধ অভিধান কিছুটা ও আছে আয়ত্ব।
লোক লজ্জা ঝেড়ে মুছে, আমার ও তো কিছু চাই, বলি,
না বলা ভাষার মুখে কিছুটা তো চাই।
ঐযে দ্যাখো বেশিদিনের কথা না,
বাসের ব্যথায় পিষ্ঠ কলেজ পড়ুয়া আমার মতো সরু উঠতি দেহ শতদল,
এসব কিশোরের কাউকে ব্যথা দেবার কথা না।
ভদ্র ইতর উচ্চ হাস্যে বলে গেল, “ভিক্ষুকেরা পাশাপাশি নয়, বিঘত খানেক দূরত্ব মাপো।নিজেরা সাবধানে চলাফেরা করো। ”
ব্যস হয়ে গেল। হতবুদ্ধি জাতি। অপরিশ্রুত আবেগের তীব্র ঘনীভূত প্রকাশ, কটা দিন কি ওলোট পালোট না হয় ।
তোমার স্বার্থের বর্ণ ও বানান আমার দেয়াল জুড়ে,
নির্ভেজাল কবিতার পান্ডুলিপি জুড়ে রক্ত, সবুজ বনে হরিদ্রা বিষাদ, হিংস্র পশু আর নদী সমুদ্রের গভীর জলে বিষাক্ত দূষণ।
আমার ও তো কিছু চাই। বলি।
হা হয়ে থাকি।
তোমার বন্য চোখ চেয়ে নির্বাক থমকে যাই।
ক্ষোভ থাকলেই বা কি, আমি আমরা কতখানি দুঃখী,
ক্ষোভটা ছড়াবার সাহস নেই, খরায় ঢল, শ্রাবণের ব্যাপক বর্ষণ , আমি আমরা শুধু বদলে যাই।