1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন

পদ্মা সেতুর ২ হাজার ৮৫০ মিটার দৃশ্যমান

দিনলিপি নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ৬৫৪ বার

দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতুর ২ হাজার ৮৫০ মিটার অর্থাৎ প্রায় তিন কিলোমিটার। বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরা সীমান্তে ২১ ও ২২ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় ১৯তম স্প্যান (৪-সি)।

সকালে মাওয়ার কুমারভোগ ইয়ার্ড থেকে ক্রেনে করে ১৯তম স্প্যানটি পিলারের কাছে নেয়া হয়। গত ১১ ডিসেম্বর মাওয়া প্রান্তে ১৭ ও ১৮ নম্বর পিলারের ওপর ১৮তম স্প্যানটি স্থায়ীভাবে বসানোর ফলে সেতুর ২ হাজার ৭০০ মিটার অবকাঠামো দৃশ্যমান হয়।

এছাড়া এই মাসের শেষের দিকে ১৮ ও ১৯ নম্বর পিলারের ওপর আরও একটি স্প্যান স্থাপন করার কথা জানিয়েছেন পদ্মা সেতু প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. হুমায়ন কবীর।

তিনি আরও জানান, পদ্মা নদীতে এখন নেই আগের মতো তীব্র স্রোত। নদী শান্ত হওয়ায় সেতুর কাজে এসেছে ব্যাপক গতি। গেল বর্ষা মৌসুমে ৪ মাসে বসানো গেছে মাত্র একটি স্প্যান। গত ১৯ নভেম্বর ১৬তম স্প্যান ও ২৬ নভেম্বর ১৭তম ও ১১ ডিসেম্বর পদ্মা সেতুতে স্থাপন করা হয় ১৮তম স্প্যানটি।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আরো জানান, সব চ্যালেঞ্জ জয় করে এগিয়ে যাচ্ছে মূল সেতুর কাজ। পিলারের পাশাপাশি স্প্যান, রোডওয়ে ও রেলওয়ের কাজও এগিয়ে চলছে। পুরো সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি। সেতুর ৪২টি পিলারের মধ্যে পুরো প্রস্তুত এখন ৩৩টি। ৪২টি পিলারের উপর ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার।

তিনি জানান, এ পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের কাজে অগ্রগতি হয়েছে ৭৬ ভাগ। এর মধ্যে সেতুর কাজে অগ্রগতি হয়েছে ৮৫ ভাগ আর নদী শাসনের কাজ ৬৫ ভাগ। দ্বিতল বিশিষ্ট কংক্রিট আর স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে সেতুটি। যার দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার ও প্রস্থ ৭২ ফুট, ভায়াডাক্ট ৩ দশমিক ১৮ কিলোমিটার, উচ্চতা ৬০ ফুট, চার লেনের সড়ক এবং নিচের তলায় ট্রেন লাইন। থাকবে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ পরিবহন সুবিধা।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। হুমায়ন কবীর জানান, চলতি মাসে স্প্যান বসানোর পাশাপাশি মাওয়া প্রান্তে রোড ও রেল স্ল্যাব বসানোর কাজ করা হবে। ৪২টি পিলারের মধ্যে শতভাগ কাজ শেষে নদীজুড়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো এখন ৩৩টি। ৪১টি স্প্যানের মধ্যে চীন থেকে দেশে এসে পৌঁছেছে ৩১টি।

তিনি আরও জানান, এতে কাজ করছে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে প্রায় চার হাজার মানুষ। ভায়াডাক্ট পিলার ৮১টি, উচ্চতা হবে ৬০ ফুট, পাইলিং গভীরতা ৩৮৩ ফুট। মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি, প্রতি পিলারের জন্য পাইলিং হবে ৬টি, মোট পাইলিংয়ের সংখ্যা ২৬৪টি।২০১৭ সালে ৩০ ডিসেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিঁতে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এর পর একে একে বসানো হয়েছে ১৯টি স্প্যান।

মূল সেতুর নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুই প্রান্তে টোলপ্লাজা, সংযোগ সড়ক, অবকাঠামো নির্মাণ করছে দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

এ জাতীয় আরো সংবাদ