নওগাঁর মান্দায় অপহরণের ১৪দিনেও স্কুলছাত্রীকে (১৫) উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। গ্রেফতার হয়নি মামলার এজাহারভ‚ক্ত কোন আসামি। বাদির অভিযোগ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের সঙ্গে গোপন সখ্যতা বজায় রেখেছেন। আসামিরা প্রকাশ্যে অবস্থান করে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য অব্যাহত হুমকি দিয়ে চলেছে। এতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বাদির পরিবার। মামলার ভবিষ্যত নিয়েও শংকিত পরিবার।
মামলা সুত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ মৈনম উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী গত ৫ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। পথে কাঠেরডাঙ্গা মসজিদের অদুরে রাস্তা থেকে সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলযোগে তাকে অপহরণ করা হয়।
ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদি হয়ে দক্ষিণ মৈনম গ্রামের আফতাব শেখের ছেলে জামান শেখ, আব্দুস সালামের ছেলে স¤্রাট, জাফরাবাদ গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে এমরান হোসেনসহ ৫জনের নাম উল্লেখ করে গত ৭ ডিসেম্বর মান্দা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার তদন্তভার দেয়া হয় মান্দা থানার উপপরিদর্শক গোলাম মোস্তফাকে।
বাদির অভিযোগ, তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গোলাম মোস্তফা দফায় দফায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এজাহারভ‚ক্ত আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের গ্রেফতার করেছেন না তদন্তকারী কর্মকর্তা। আসামি ও তাদের পরিবারের লোকজন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ অব্যাহত রেখেছেন। গত ১৩ ডিসেম্বর আসামি এমরান হোসেন কুলিহার বাজারে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রকাশ্যে আমাকে হুমকি দিয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি তিনি। উল্টো তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাকে বলেন ভিকটিমকে উদ্ধারের স্বার্থে আসামিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। থানা পুলিশের এহেন আচরনে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। মামলার ভবিষ্যত নিয়েও আমি শংকিত।
মামলার কোন অগ্রগতি নেই বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মান্দা থানার উপপরিদর্শক গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ভিকটিমের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। আসামিরা গা ঢাকা দেওয়ায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না। মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, ভিকটিমকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।