ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই দিনব্যাপী ২১তম জাতীয় সম্মেলন শুরু হচ্ছে আজ। বিকেল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী উদ্বোধন করবেন সম্মেলনের। তীব্র শীত উপেক্ষা করে সম্মেলনে অংশ নিতে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢল নেমেছে নেতাকর্মীদের।
সারা দেশ থেকে ছুটে আসা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জন্য বেলা পৌনে ১১টার দিকে প্রবেশ পথ খুলে দেওয়া হয়। নিরাপত্তা তল্লাশির পর ভেতরে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। ভেতরের সমাবেশস্থল থেকে মাইকে নেতাকর্মীরা কে কোথায় বসবেন সেই নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৫০ হাজার মানুষের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সারা দেশ থেকে সাড়ে সাত হাজার কাউন্সিলর ও ১৫ হাজার ডেলিগেটসহ প্রায় ৫০ হাজার নেতাকর্মী সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবেন দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবী। বিএনপিসহ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ বছর কোনো বিদেশি অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো না হলেও আমন্ত্রণ পেয়েছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা।
নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে ইতিমধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশপাশের এলাকা জমজমাট হয়ে উঠেছে। সম্মেলনকে ঘিরে ওই এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে মোতায়েন রয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দেড় সহস্রাধিক সদস্য। সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে মোতায়েন রয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
সম্মেলন উদ্বোধন করার সময় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা ও দলের সাধারণ সম্পাদক দলীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। দলের জেলা নেতারাও উত্তোলন করবেন পতাকা। পরিবেশন করা হবে জাতীয় সংগীত।
সম্মেলন উদ্বোধনের পরপরই হবে শুরু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ধর্মগ্রন্থ পাঠের পর হবে শোক প্রস্তাব পাঠ। এক মিনিট নীরবতা পালনের পর অভ্যর্থনা, উপ-পরিষদের আহ্বায়ক বক্তব্য দেবেন। সাধারণ সম্পাদক পেশ করবেন দলের প্রতিবেদন। এরপর সভাপতির বক্তব্য এবং সবশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে প্রথম দিনের কর্মসূচি।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশনের উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা। এরপর শুরু হবে রূদ্ধদ্বার কাউন্সিল। এই কাউন্সিল অধিবেশনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।
এদিকে আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে গোটা রাজধানী ছেয়ে গেছে ব্যানার-ফেস্টুনে। দলের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। মানুষের মনে এখন কৌতুহল একটাই। কে হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক?