ডেভিড মালানের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে কুমিল্লাকে ব্যাট করতে পাঠায় রাজশাহী। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্নক কুমিল্লার দুই ওপেনার ভানুকা রাজাপাকসে এবং ডেভিড মালান। তবে দলীয় ২৮ রানে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই ভানুকাকে সাজঘরে পাঠান আফিফ হোসেন। ৮ বলে ১০ রান করে ফেরেন এই ওপেনার।
উইকেটে নেমে থিতু হতে পারেননি সাব্বির রহমানও। রাসেলের শিকারে পরিণত হয়ে ৫ রানে মাঠ ছাড়তে হয় এই ব্যাটসম্যানকে। কুমিল্লার শিবিরে তৃতীয় আঘাত হানেন রাভি বোপারা। সৌম্য সরকারকে ২০ রানে থামিয়ে দেন ইংলিশ এই অলরাউন্ডার। সেই সাথে ভাঙেন মালান-সৌম্যের দাঁড়িয়ে যাওয়া জুটিটিও।
তবে উইকেটের আক প্রান্ত আগলে ধরে বসে থাকেন ডেভিড মালান। নিজের নামের পাশে যোগ করেন একটি অর্ধশতক। মালানকে সঙ্গ দিতে এসেছিলেন দাশুন শানাঙ্কা। কিন্তু থিতু হবার আগেই মালানের সঙ্গিকে কেড়ে নেন আবু জায়েদ রাহি। দুই বল পর কিছু বুঝে উঠার আগেই রাহির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন ইয়াসির আলি।
এরপর বোলিংয়ে এসে পরপর দুই বলে দুই উইকেট শিকার করে কুমিল্লার লাইনআপে ধ্বস নামান মোহাম্মদ ইরফান। এরপর একাই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন ডেভিড মালান। রানের তুবড়ি ছুটিয়ে তুলে নেন এবারের আসরের ব্যক্তিগত প্রথম শতক। সেই সাথে আন্দ্রে ফ্লেচারের পর দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান শতক হাঁকানো ব্যাটসম্যানের খাতায় নিজের নাম তুলে দেন তিনি।
৫৪ বলে করা টর্নেডো এই শতকে ছিলো পাঁচটি ছক্কা এবং নয়টি চারের মার। শেষতক তার ব্যাটে ভর করে কুমিল্লার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৭০ রান। রাজশাহীর হয়ে দুটি করে উইকেট নেন রাহি, আন্দ্রে রাসেল এবং মোহাম্মদ ইরফান।
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স একাদশ:
ভানুকা, সৌম্য, সাব্বির, মালান, ইয়াসির, শানাকা (অধিনায়ক), মুজিব উর রহমান, অঙ্কন (উইকেটরক্ষক), আল-আমিন হোসেন, রবি, সুমন।
রাজশাহী রয়্যালস একাদশ:
লিটন (উইকেটরক্ষক), আফিফ, শোয়েব মালিক, রাসেল (অধিনায়ক), বোপারা, কাপালি, নাহিদুল, ফরহাদ রেজা, রাহি, মোহাম্মদ ইরফান, কামরুল ইসলাম রাব্বী।