1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন

শীতে একজন মানুষও যেন কষ্ট না পায়: এ্যাড. মামুন জোয়ার্দার

দিনলিপি নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ৭০৪ বার

রাত তখন সাড়ে ১১টা চারিদিকে কুয়াচ্ছন্ন অন্ধকার। মাঘের হাড় কাঁপানো এই শীতে গ্রামের সবাই ঘুমে বিভোর। ১২ কি.মি. দূরে প্রত্যন্ত অঞ্চল রতিডাঙ্গা। সেই গ্রামের আসমা বানু (৭২) বারান্দায় পাতলা একটি চাদর গায়ে ঘুমিয়ে আছেন। এমন সময় বাড়িতে কম্বল নিয়ে হাজির চেয়ারম্যান এ্যাড. মামুন জোয়ার্দার। কম্বল পেয়ে খুশিতে আসমা বানুর চোখে আনন্দের অশ্রু গড়িয়ে পরে। এবার বুঝি পাবে একটু উষ্ণতা।

কথায় আছে ‘মাঘের শীতে বাঘ পালায়’, কিন্তু এ বছর পৌষ মাস শুরু হতে না হতেই মাঘের চেয়েও তীব্র শীত নেমেছে সারা দেশে। শীতের প্রভাবে জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, গত দু’দিনের বৃষ্টির কারণে সারা দেশে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। শীতে পুরো দেশ যখন কাঁপছে। তখন শীত উপেক্ষা করে মানবতার সেবার অসহায় মানুষদের শীতের কষ্ট থেকে মুক্ত করতে কম্বল বিতরণ শুরু করেছেন শৈলকুপা উপজেলার কাঁচেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. সালাহ্উদ্দিন জোয়ার্দার মামুন।। শীতে যাতে অসহায় মানুষের একটু হলেও শীত নিবারণ হয় সেজন্য প্রতিবছরের মতো এবারও বিতরণ করছেন কম্বল।

কম্বল পেয়ে বোয়ালিয়া গ্রামের হাশেম শেখ আবেগ আপ্লূত হয়ে বলেন, ‘এবারের শীতে প্রথম দিকে খুব কষ্ট করেছি এরপর আমাদের চেয়ারম্যান ভাইয়ের দেয়া কম্বল পেয়ে এখন শান্তিতে ঘুমাতে পারি।’ মধুদহ গ্রামের নরেণ কুমার বিশ্বাস বলেন, মামুন ভাইয়ের কম্বল পেয়ে আমার বাবা-মা এখন আর শীতে কষ্ট করে না। কাঁচেরকোল গ্রামের নাছিমা খাতুন বলেন, খুব কষ্ট করছিলাম শীতে, মামুন জোয়ার্দারের কম্বল পেয়ে এখন একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারছি।

বিতরণ শেষে এ্যাড. মামুন জোয়ার্দার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে শেখ হাসিনার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে শুধুমাত্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তাদের সেবা করার জন্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের সরকার সদা প্রস্তুত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। মানবতা বোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে শীতার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছি। গ্রামের অসহায়-গরীব মানুষেরা তাদের শীত নিবারণের জন্য মোটা কাপড় কিনতে পারে না। আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে করে আমার ইউনিয়নে একজন মানুষও যেন শীতে কষ্ট না পায়।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে অনেকেই কম্বল পেয়েছেন বাকিদের জন্যও কম্বল রয়েছে সেগুলো কয়েকদিনের মধ্যেই বিতরণ শেষ হবে। আমাদের সবার উচিত এসব অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সেবা করা। ভবিষ্যতে এরকম কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

এ জাতীয় আরো সংবাদ