কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই ইরানের সঙ্গে বড় ধরনের সমঝোতা করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘকে পাঠানো এক চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্র এ কথা জানিয়েছে বলে বিবিসির একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল কাসেম সোলেইমানি হত্যার পর দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমন সময় জাতিসংঘকে পাঠানো চিঠিতে সমঝোতায় বসতে প্রস্তুত বলে জানায় ওয়াশিংটন।
সোলেইমানিকে হত্যার সিদ্ধান্ত আত্মরক্ষার খাতিরে ন্যায়সঙ্গত বলে ওই চিঠিতে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে গতকাল বুধবার ইরাকে অবস্থিত দুটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)। এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৮০ জন মার্কিন সেনা নিহত ও ২২৪ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করছে তেহরান।
এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘মুখে থাপ্পড়’ বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। অপরদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছে, এ হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে পেশ করা চিঠিতে বিশ্বসংস্থাটির মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেলি ক্রাফ্ট বলেছেন, ‘ইরান কর্তৃক আন্তর্জাতিক শান্তি ও সুরক্ষা বিনষ্ট রোধের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা করতে প্রস্তুত।’
জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদের অধীনে কমান্ডার সোলেইমানি হত্যার বিষয়টি ন্যায়সঙ্গত বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। ৫১ অনুচ্ছেদ অনুসারে, আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগে যেকোনো ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে অবিলম্বে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলকে অবহিত করতে হবে।
অপরদিকে জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত মজিদ তখত রাভনচিও ৫১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে লিখিত প্রতিবেদন পেশ করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, তেহরান কোনো ধরনের ‘বাড়াবাড়ি বা যুদ্ধ চায় না’। তেহরান প্রতিরক্ষা অধিকার প্রয়োগ করে মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ‘পরিমিত এবং আনুপাতিক সামরিক প্রতিক্রিয়া গ্রহণ করে।’ অপারেশনটি সুনির্দিষ্ট এবং লক্ষ্যবস্তু সামরিক উদ্দেশ্য ছিল যাতে ওই অঞ্চলের বেসামরিক মানুষ ও সম্পদের কোনো যেন ক্ষতি না হয়।