আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। সাক্ষাতে নবমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তারা।
অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী সিরাজুল হক ও সাধারণ সম্পাদক পি এস চুন্নুর নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল গত মঙ্গলবার দুপুরে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দলের ত্রয়োদশ সম্মেলন থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
১৯৮১ সালের ১৩ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারির সম্মেলনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
এরপর ১৯৮৭ সালের জানুয়ারিতে চতুর্দশ, ১৯৯২ সালের সেপ্টেম্বর পঞ্চদশ, ১৯৯৭ সালের মে মাসে ষোড়শ, ২০০২ সালের ডিসেম্বরে সপ্তদশ, ২০০৯ সালের জুলাইয়ে অষ্টাদশ, ২০১২ সালের ডিসেম্বর ঊনিবিংশ এবং ২০১৬ সালে বিংশতম সম্মেলনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন হাসিনা।
সর্বশেষ গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে দলের ২১ তম জাতীয় সম্মেলনে শেখ হাসিনাকে আবারও আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়।
নবমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে মঙ্গলবার গণভবনে যান অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগ। গণভবনে প্রথমে আওয়ামী লীগের অস্ট্রেলিয়ার উপদেষ্টা অধ্যাপক ডক্টর ফরিদ আহমেদ শেখ হাসিনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
এ সময় অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ দাবানলে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সম্পর্কে জানতে চান বাংলাদেশের সরকারপ্রধান। দাবানলে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে দ্রুত এই মহাবিপদ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেন মুক্তি পায় সেজন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
শত ব্যস্ততার মধ্যেও সাক্ষাতকারে সময় দেওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পি এস চুন্নু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সোচনা শোভা এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহাজাদা গাউসুল আলম প্রমুখ।