ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৬৩ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ৯ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে সবাইকে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের বৈঠকের এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ৬ আগস্ট ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৯ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
২০১২-১৩ থেকে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি হওয়া এসব শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সিআইডি চার্জশিট দেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের সভায় সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়।
একইসঙ্গে এসব শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়। জবাবের ওপর ভিত্তি করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়।
পাঁচ মাসেরও বেশি সময় পর সাময়িক বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৩ জনকে আজীবন বহিষ্কার করা হলো আজ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বছরের ২৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ জন শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন এবং পাবলিক পরীক্ষা আইনে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় ২৬ জুন ৭৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর হাকিম মো. সারাফুজ্জামান আনসারী। যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তাদের গ্রেপ্তার করা গেল কি না, তা ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।