প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) শিক্ষার্থী বহিষ্কারের বিধান বাতিল করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে আদালতকে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ।
তলব আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে হাজির হয়ে তিনি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ তথ্য দেন।
সোহেল আহমেদ আদালতকে জানান, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) পরীক্ষার্থীকে এখন থেকে আর বহিষ্কার করার সুযোগ নেই। এরই মধ্যে বহিষ্কারসংক্রান্ত ১১ নম্বর বিধিটি বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। আর আদালতের নজরে আনা প্রতিবেদনের বিষয়ে ছিলেন আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল।
এদিন তলব আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ আদালতে হাজির হন। তখন আদালত তাকে বলেন, ‘আমাদের আদেশগুলো বাস্তবায়ন করা হলে আপনাকে আদালতে আসতে হতো না।’
পরে তার আইনজীবী শফিক মাহমুদ আদালতকে বলেন, ‘হাইকোর্ট যেসব নির্দেশনা দিয়েছেন সেগুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে।’
আদালত শফিক মাহমুদকে প্রশ্ন করেন, ‘শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারসংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট বিধিটি কি বাতিল করা হয়েছে?
জবাবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট বিধিটি মন্ত্রণালয় বাতিল করেছে।’ এর পরই হাইকোর্ট মামলায় জারি করা রুলটি নিষ্পত্তির আদেশ দেন।
এর আগে গত বছরের ১৯ নভেম্বর ‘প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় শিশু বহিষ্কার কেন’ শিরোনাম নামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন ২১ নভেম্বর আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল।
ওইদিন হাইকোর্ট স্বঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। রুলে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বরের জারি করা নির্দেশনার ১১ নম্বর অনুচ্ছেদ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চান হাইকোর্ট।
এবারের পিইসি পরীক্ষায় ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত ১৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়। পরে বহিষ্কার করা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে নেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এই পরীক্ষা নিয়ে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।