দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও পত্রিকাটির সাময়িকী কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের ছাত্র নাইমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর ঘটনায় এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলামের আদালতে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এ সময় নাইমুল আবরারের বাবা মো. মুজিবুর রহমান আদালতে হাজির ছিলেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, কবির বকুল, শুভাশিষ প্রামানিক শুভ, মহিতুল আলম পাভেল, শাহপরান তুষার, জসিম উদ্দিন অপু, মোশারফ হোসেন, সুজন ও কামরুল হায়দার।
এর আগে ওই আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ধারা ৩০৪(এ) অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা প্রমাণিত হওয়া একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক আবদুল আলীম। প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. ওমর ফারুক আসিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মামলায় মতিউর রহমান ছাড়াও অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আজ বাদীপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক আসিফ তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে শুনানি করে বলেন, ‘যেহেতু আমরা শুরুতে বলেছি, প্রথম আলো কিশোর বন্ধু সভায় যে অনুষ্ঠান করেছিল তা বিদ্যুৎ অব্যবস্থাপনা ছিল। তাদের গাফিলতির কারণে আবরারে মৃত্যু হয়। তাই সকল আসামিদের প্রতিবেদন আমলে নিয়ে দণ্ডবিধির ৩০৪ (এ) অনুযায়ী গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হোক।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন আবরারের বাবা মুজিবুর রহমান।
উল্লেখ্য, গত ১ নভেম্বর বিকেলে ঢাকা রেসিডেসিয়াল মডেল কলেজের ক্যাম্পাসে কিশোর আলোর অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় নাইমুল আবরার। এ ঘটনায় শুরু থেকেই আয়োজকদের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে আসছে শিক্ষার্থীরা।