মহামারি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন উন্নয়নে গোটা বিশ্বে শতাধিক গবেষক দল কাজ করছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস টুডে বলছে, বিশ্বজুড়ে পরীক্ষামূলক ১০৮টি ভ্যাকসিনের মধ্যে ইতোমধ্যেই আটটিকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের (মানবদেহে প্রয়োগ) অনুমতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এপ্রিলের শেষ নাগাদ পর্যন্ত ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে গবেষক দল ছিল ১০৪টি। সম্ভ্যাব্য ভ্যাকসিনের তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে, জাপানের ইউনিভার্সিটি অব টোকিও, তুলানে ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টা এবং দি ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গ।
কয়েক মাস ধরে কাজ চললেও বিশ্ববাসীর প্রত্যাশিত ওই ভ্যাকসিন এখন পর্যন্ত কেউ তৈরি করতে পারেননি। দু-একটি প্রতিষ্ঠান নিজেদের সফল বলে দাবি করেছে। গত ১৬ মার্চ প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগ করে দি আমেরিকান ন্যাশনাল হেলথ ইনস্টিটিউট বা এনআইএস।
গত ১৬ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো মানবদেহে পরীক্ষামূলকভাবে ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর আরও সাতটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিংবা বায়োটেক কোম্পানি তাদের তৈরি কোভিড-১৯-এর সম্ভাব্য ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগ করে। পরীক্ষা শেষে কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া গেলে তা বাজারে আসবে।
ভ্যাকসিন তৈরিতে একধাপ এগিয়ে ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীন। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন পাওয়া আটটি ভ্যাকসিনের মধ্যে পাঁচটি চীনের। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে একটি করে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে। অপরটি যৌথভাবে তৈরির কাজ করছে জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেক ও যুক্তরাষ্ট্রের বায়োটেক কোম্পানি পিজফার।