দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে আরও ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট মারা গেলেন এক হাজার ১৭১ জন। একই সময়ে নতুন করে আরও তিন হাজার ১৪১ জনের মধ্যে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। ফলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৮৭ হাজার ৫২০ জনে।
রোববার (১৪ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা অনলাইনে এ বুলেটিন পড়েন।
তিনি সংযোজিত একটিসহ মোট ৬০টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪ হাজার ৬৯০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৪ হাজার ৫০৫টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো পাঁচ লাখ এক হাজার ৪৬৫টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ১৪১ জনের মধ্যে। ফলে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮৭ হাজার ৫২০ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩২ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো এক হাজার ১৭১ জনের। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৯০৩ জন। ফলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন মোট ১৮ হাজার ৩৩১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের ২৭ জন পুরুষ এবং পাঁচজন নারী। ১৬ জন ঢাকা বিভাগের, ১১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, দুজন সিলেট বিভাগের এবং একজন করে বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের। ২০ জন মারা গেছেন হাসপাতালে, ১১ জন বাসায় এবং একজনকে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব ছয়জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১০ জন, ষাটোর্ধ্ব নয় জন, সত্তরোর্ধ্ব দুইজন এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সী তিনজন রয়েছেন।
গত শনিবারের (১৩ জুন) বুলেটিনে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ১৩ হাজার ৬৩৮টি নমুনা পরীক্ষায় করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৮৫৬ জনের মধ্যে। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু কমলেও বেড়েছে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ৪৬ জনের এবং সর্বোচ্চ সংক্রমণ শনাক্তের রেকর্ড তিন হাজার ৪৭১ জনের। সর্বোচ্চ মৃত্যু ও শনাক্তের দুটি রেকর্ডের কথাই জানানো হয় গত ১২ জুনের বুলেটিনে।
রোববারের বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত রোগী শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।