‘স্ট্রোক হলে অনেক সময় মানুষ প্যারালাইজড হয়ে যায়। তাৎক্ষণিক স্ট্রোকের জটিলতা কেটে গেলেও প্যারালাইসিস কবে সারবে না সারবে, সেটা বলা কঠিন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তার করোনা সেরে গেছে। কিন্তু করোনা তার নিউমোনিয়ার জটিলতা তৈরি করে গেছে। তাছাড়া কিডনি ফেইলিউর (অচল) থাকায় আগে থেকেই তার ফুসফুসে কিছু সমস্যা ছিল। সবকিছু মিলিয়ে জাফরুল্লাহর অবস্থাটা এখন একটু জটিল।’
বুধবার (১৭ জুন) সকালে জাগো নিউজকে এসব কথা বলেন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল এবং কোভিড-১৯ কিট প্রকল্পের সমন্বয়ক ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার।
তিনি বলেন, ‘উনার শারীরিক অবস্থা আগে যে অবস্থায় ছিল, এখন পর্যন্ত অ্যাডভান্সড হয়নি। আগে তো তার কোভিড পজেটিভ ছিল, সেটা নেগেটিভ হয়েছে। উনার নিউমোনিয়া যেটা, এখন উনার সমস্যা যেটা, সেটা এখনও খুব একটা ভালোর দিকে যায়নি। তিনি এখনও আন্ডারট্রিটমেন্টে (চিকিৎসাধীন) আছেন। যদিও তিনি কনশাস (চেতন)। কোনো অক্সিজেন লাগছে না। উনি নিজে নিজেই বাথরুমে যাচ্ছেন। নড়াচড়া করছেন। উনার ফুসফুসে যে নিউমোনিয়া, সেটা থেকে এখনও উনি নিরাপদ পর্যায়ে আসেননি। এখনও ক্রিটিক্যাল পর্যায়ে আছেন। উনি আইসিইউতে ভর্তি আছেন।’
ডা. জাফরুল্লাহ মনোবল আর লাখো মানুষের দোয়ার ওপর ভিত্তি করে বেঁচে আছেন বলেও মন্তব্য করেন মুহিব উল্লাহ খোন্দকার।
উল্লেখ্য, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার স্থাপিত প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মামুন মোস্তাফি এবং অধ্যাপক ডা. নাজিব মোহাম্মদের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে আছেন।
গত ২৫ মে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। ১৩ জুন সকালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কিটে পরীক্ষা করে তার করোনা নেগেটিভ আসে। এরপর গত সোমবার পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষায়ও তার করোনা নেগেটিভ আসে।
সুত্রঃ জাগো নিউজ