1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

কলসকাঠির ঝুঁকিপূর্ন সেতু, যে কোন মূহুর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা

জাহিদুল ইসলাম, বাকেরগঞ্জ।
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০২০
  • ৮৩৯ বার

বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠি ইউনিয়নের খাদ্যগুদাম সংলগ্ন খালের উপর লোহার সেতুটির বহুদিন ধরে যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী। এলাকায় দলীয় নেতা কর্মীতে সয়লাব কিন্তু কারো নজর নেই উন্নয়ন তৎপরতায়। এরইমধ্যে সেতুটির খুঁটি রেলিং ভেঙে যাওয়ায় অচল হওয়ার পথে দশটি গ্রামের পঁচিশ হাজার মানুষের একমাত্র চলাচল মাধ্যম এই সেতুটি। মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে পথচারী পারাপার হচ্ছে এই সেতুর উপর দিয়ে, উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের যাতায়াত করতে এটিই তাদের একমাত্র ভরসা। সেতুটির ঢালাইয়ের পাশাপাশি খুঁটি রেলিং ভেঙে যাওয়ায় যেকোনো মুহূর্তে ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বাকেরগঞ্জ উপজেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান ১৬ বছর আগে কলসকাঠি বাজার সংলগ্ন খালের উপর এলজিইডির অর্থায়নে এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে তৎকালীন সময়ে সেতুটি সংস্কার করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন ভুল ডিজাইন, কম বরাদ্দ, সেতুর পাশে উপজেলা খাদ্য গুদাম এসব মাথায় না রেখে দ্বায়সারা ভাবে সেতুটি নির্মাণ করেছে কর্তৃপক্ষ। তাদের সে ভুলের মাশুল এখন আমাদের গুনতে হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সেতুটির মাঝ বরাবর অন্তত পনের থেকে বিষ ফুট অংশ ভেঙে গেছে এছাড়া দক্ষিণ দিকে হেলে পড়েছে। ইতিপূর্বে ঢালাই ভেঙে যাওয়ায় কাঠের তক্তা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লোকজন পার হচ্ছে । সেতুটির লোহার খুঁটি ও রেলি বেঁকে যাওয়ার কারনে এলাকাবাসীর আশঙ্কা বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধবি রায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন আমি উপজেলা প্রকৌশলীকে সেতুটি পরিদর্শনের জন্য বলেছি উনি যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। সেতু দিয়ে কোন গাড়ি চলাচল না করার ব্যবস্থা নিতে লাল পতাকা টানিয়ে সর্তকতা সৃষ্টি করা হয়েছে, তিনি জনগুরুত্বপূর্ণ এ সেতুটির ব্যাপারে শীঘ্রই যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরে আনতে ব্যবস্থা নেবেন বলে আস্বস্থ করেন। তিনি এরই মধ্যে বাকেরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলীকে বিষয়টি মুঠোফোনে দ্রুত সেতুটি পরিদর্শনে গিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশও দিয়েছেন। কিন্তু তাতে আশস্ত হতে পারছেন না এলাকার সচেতন মহল, তারা বলেন যখনি কোনো সমস্যা ঘটে তখনই দেখা যায় কতিপয় লোকের তোড়জোড় সহ স্হানীয় প্রশাসনের ফটোসেশন নাটক, জোড়াতালি দিয়ে কোনো রকম ফেলে রেখে যায়। কেউ স্থায়ী সমাধানে এগিয়ে আসেনা। নির্বাচন কালে নেতাদের প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি, কিন্তু নির্বাচন শেষে কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায় না। বর্তমানে অভিভাবকহীন কলসকাঠি ইউনিয়নে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন প্যানেল সদস্য ইয়াকুব আলী। কিন্তু জনস্বার্থে তার কর্মকান্ড তেমন সুবিধা জনক নয়, ২ বছর গত হলো তুলাতলি ব্রীজ উদ্বোধন করা হয়েছে। কিন্তু আজ অবধি বাকেরগঞ্জ উপজেলার সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ ও প্রচীন এ ইউনিয়নের সাথে সংযোগ সড়ক নির্মানে কতৃপক্ষের কোনো আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। অতীতের জোড়াতালি দেওয়া খানাখন্দেভরা পুরনো রাস্তাটি মেরামতের অভাবে বর্তমানে প্রায় অচল অবস্থায় আছে। ৫০/৬০ হাজার লোকের উপজেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার একমাত্র মাধ্যম সেই প্রাচীন আমলের খেয়া পারাপার। বিষয়টি নিয়ে পত্র-পত্রিকায় বিভিন্ন সময় গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ হলেও কর্তৃপক্ষের নজর নেই। পত্রিকা খুললে ইউনিয়নের নেতাদের মুখ দেখা গেলেও স্থানীয় উন্নয়ন কর্মকান্ডে তাদের তেমন সম্পৃক্ততা নেই বললেই চলে। বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে এলাকার সচেতন মহল দ্রুত বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে আনতে জোর দাবি জানিয়েছেন।

এ জাতীয় আরো সংবাদ