তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে না এমন মানুষ কমই পাওয়া যাবে। ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস, লিংকডইন সহ আরও কয়েকটি ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলতে খুব বেশি সময়ও লাগে না, আবার ব্যবহারবিধিও সহজ। কিন্তু প্রযুক্তি ব্যবহারে জীবন যেমন সহজ হয়েছে তেমনি বেড়েছে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ঝুঁকিও। প্রায়শই শোনা যায় সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হতে।
একাউন্ট হ্যাকড হয়ে যাওয়া মানে আপনার পাসওয়ার্ড অন্য কেউ চুরি করে নিয়ে বদলে ফেলে একাউন্টের মালিকানা। শুধু এখানেই থেমে থাকে না হ্যাকারদের কাজ। অনেকে শিকার হন ব্ল্যাক মেলিংয়েরও। তবে এসব হ্যাকারদের দমাতে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) বাংলাদেশ পুলিশের অফিসিয়াল পেজে ‘সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট হ্যাক হলে করোণীয়’ শিরোনামে একটি একটি পরামর্শমূলক আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়েছে।
একাউন্ট হ্যাক হলে তাদের পরামর্শ হলো:
প্রথমেই http://www.facebook.com/hacked লিঙ্কে প্রবেশ করুন।
এরপর “Someone else got into my account without my permission”-এ ক্লিক করুন। হ্যাক হওয়া একাউন্টটির তথ্য চাওয়া হলে সেখানে উল্লেখ করা ২টি অপশনের (ইমেইল বা ফোন নাম্বার) যে কোন একটির ইনফরমেশন দিন।
প্রদত্ত তথ্য সঠিক হলে প্রকৃত একাউন্টটিই দেখাবে এবং আপনার বর্তমান অথবা পুরাতন পাসওয়ার্ড চাইবে; এখানে আপনার পুরাতন পাসওয়ার্ডটি দিয়ে “Continue” করুন।
হ্যাকার যদি ইমেইল এড্রেস পরিবর্তন করে না থাকে তাহলে আপনার ইমেইলে রিকভারি অপশন পাঠানো হবে। এর মাধ্যমে হ্যাকড ফেসবুক একাউন্ট উদ্ধার করা সম্ভব।
হ্যাকার যদি ইমেইল এড্রেস, ফোন নাম্বারসহ লগইন এর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পরিবর্তন করে থাকে তাহলে, Need another way to authenticate? -> Submit a request to Facebook এ ক্লিক করলে ফেসবুক প্রোফাইলটি উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও আইডি সরবরাহের ফর্ম পূরণের মাধ্যমে হ্যাকড ফেসবুক একাউন্ট উদ্ধার করা সম্ভব।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাকিং-এর শিকার হলে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারে আপনি সরাসরি নিজে এসে অভিযোগ জানাতে পারেন। এছাড়াও নিম্নবর্ণিত যে কোন মাধ্যমে অভিযোগ পাঠাতে পারেন। হটলাইন : ০১৭৩০৩৩৬৪৩১, ইমেইল : smmcpc2018@gmail.com; ফেসবুক পেইজ : https://www.facebook.com/cpccidbdpolice/
এছাড়াও, সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট হ্যাকের মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হলে কালক্ষেপণ না করে নিকটস্থ থানা পুলিশকে অবহিত করুন। প্রত্যেককে সচেতন হওয়ার অন্যকে সচেতন করার মাধ্যমে নিরাপদ জীবন গড়ার আহ্বান জানানো হয়।