অপ্রতিরোধ্য বায়ার্ন মিউনিখকে ঠেকাতে পারবে নেইমার-এমবাপ্পে! মেশিন লেভা ও নাব্রিকে রুখে দিতে পারবে পিএসজির রক্ষণভাগ!
বুধবার রাতে অলিম্পিক লিঁওকে ৩-০ গোলে হারিয়ে বায়ার্ন মিউনিখ ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করার পর থেকেই এমন সব চিন্তায় মগ্ন ফুটবলপ্রেমীরা।
শক্তিমত্তায় কে এগিয়ে তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। তবে লড়াইটা যে জমজমাট হতে যাচ্ছে তা নিশ্চিত অনেকেই।
এবারের মৌসুমে বুন্দেসলিগা ও জার্মান কাপ জিতে নিজেদের শক্তিমত্তার পরিচয় দিয়েছে বায়ার্ন। জার্মানির সেরা দল বলতে এক নামে মিউনিখের এ দলই।
অন্যদিকে ফরাসি লিগ ও ফরাসি কাপ জিতেছে পিএসজি। ইতিমধ্যে নিজ দেশের ক্লাব বায়ার্নকে সতর্ক করেছেন জার্মানের কিংবদন্তি ফ্রেঞ্জ বেকেনবাওয়ার।
তার মতে, দুই দলের সম্ভাবনা সমানে সমান। পিএসজিকে কোনোমতেই হালকাভাবে নেয়া যাবে না।
পরিসংখ্যান তাই বলছে। চলতি মৌসুমে বায়ার্ন সব ম্যাচ জিতলেও মুখোমুখি দেখায় এগিয়ে আছে পিএসজি।
চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে এখন পর্যন্ত দুই দলের দেখা হয়েছে আট বার। এর মধ্যে পাঁচবার জিতেছে পিএসজি, তিনবার জিতেছে বায়ার্ন।
তবে ফুটবল যেহেতু গোলের খেলা, সে কথার বিবেচনায় বায়ার্নকে এগিয়ে রাখতে চাইছেন অনেকেই। চলতি মৌসুমে বায়ার্ন ফরোয়ার্ডদের ফিনিশিং ছিল দুর্দান্ত।
লেভানডফস্কি চলতি আসরে এরই মধ্যে রেকর্ড ১০টি হ্যাটট্রিক হয়েছে। এর মধ্যে বায়ার্নের নাব্রি, লেভানডফস্কি ও ইলিসিচ এক ম্যাচে চার গোল করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। আসরে এখন পর্যন্ত ১৫ গোল করেছেন বায়ার্ন মিউনিখের লেভানডফস্কি। এক মৌসুমে (২০১৩-১৪) ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর করা ১৭ গোলের রেকর্ড থেকে মাত্র দুই গোল দূরে আছেন তিনি।
ফাইনালের আগ পর্যন্ত বায়ার্ন এবার ৪২ গোল করেছে, ম্যাচপ্রতি রেকর্ড ৪.২ গোল।
অবশ্য পিএসজির রেকর্ডও চোখে পড়ার মতো। চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের শেষ ৩৪ ম্যাচের প্রতিটিতে গোল করেছে পিএসজি। স্পর্শ করেছে ২০১১ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে রিয়ালের গড়া রেকর্ড।
তবে ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতার নিরিখে বায়ার্নের তুলনায় পিএসজিকে শিক্ষানবিশই বলা যায়। এই প্রতিযোগিতায় পাঁচটি শিরোপা জেতা বায়ার্নের ১০ বার ফাইনালে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
অন্যদিকে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠল নেইমার-এমবাপ্পেদের পিএসজি।