ভারত থেকে সম্প্রতি বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশের কিছু অর্থলোভী ব্যবসায়ীরা রাতারাতি পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ করে দেয়। আর এতে বিপাকে পরে ক্রেতারা। এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘ তিন মাস পর মিয়ানমার থেকে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ টেকনাফ স্থলবন্দরে এসে পৌঁছেছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে দুটি ছোট ট্রলারে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ টেকনাফ স্থলবন্দরে এসে পৌঁছায়। তবে আমদানিকৃত এই পেয়াঁজগুলো আজ শনিবার সকালে ট্রাকবোঝাই করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, তিন মাস পর মিয়ানমার থেকে শুক্রবার বিকেলে দুটি ট্রলারে করে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে। কাগজপত্র বুঝিয়ে পেলে শনিবার খালাস করা হবে। সংকট মোকাবিলায় ব্যবসায়ীদের পেয়াঁজের আমদানি বাড়াতে উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এর আগে মংডু-আকিয়াব বন্দরে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কারণে গত ৫ জুলাই থেকে মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে কোনো বাণিজ্যিক ট্রলার আসেনি বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন পর মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা। এরই ধারাবাহিকতায় বন্দরে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসে পৌঁছেছে। মিয়ানমার থেকে আসা পেঁয়াজগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে খালাস করে দেশের বাজারগুলোতে পৌঁছে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার থেকে এ বন্দর দিয়ে গত নভেম্বর মাসে ২১ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এ ছাড়া অক্টোবর মাসে ২০ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। সেপ্টেম্বর মাসে আমদানি হয় ৩৫৭৩ দশমিক ১৪১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এবং আগস্ট মাসে এসেছে ৮৪ মেট্রিক টন এবং সর্বশেষ জুলাই মাসে এসেছিল ৮৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ।
টেকনাফ স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছরের জুলাই মাসের শুরু থেকে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজসহ সকল ধরনের মালামাল আমাদনি বন্ধ ছিল। তবে দেশে চলমান পেঁয়াজের সংকটে ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে পেঁয়াজের আমদানি বাড়াতে বন্দর সংশ্লিষ্ঠ ব্যবসায়ীদেরকে উৎসাহিত করা হবে বলে জানান তিনি।