সবজিতে পরিপূর্ণ রাজধানীর পাইকারি বাজার। কিন্তু দাম কমেছে মাত্র দু-একটির। ৫-১০ টাকা বেড়েছে বেশিরভাগ সবজির দাম। বিক্রেতারা বলছেন, বন্যা ও বৃষ্টিতে সবজি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সরবরাহ কমার কারণেই দাম বেড়েছে। খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়ায় বিরক্ত ক্রেতারাও।
রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি ৪৫-৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, শিম ১২০ টাকা ও মূলা ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব সবজি এখনও পরিপক্ক না হলেও অনেকে আগ্রহ নিয়ে কিনছেন।
এছাড়া বরবটি ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, কাঁকরোল ৪০ টাকা, ঝিঙা ৪০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, লাউ ২৫ টাকা, গাজর ৯০ টাকা ও টমেটো ৯০-১০০ টাকা, আলু ৩৮-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কমেছে কাঁচামরিচের দাম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়।
সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে রিকশাচালক মো. হাফিজুর বলেন, ‘পরিবার গ্রামে থাকে। ঢাকায় মেসে থাকি। সকাল ও রাতের খাওয়া আর থাকার ভাড়াবাবদ মাসে দিতে হয় পাঁচ হাজার টাকা। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রিকশা চালিয়ে আয় হয় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। রিকশার ভাড়াবাবদ গ্যারেজে দিতে হয় ৮০ টাকা। গ্রামের বাড়িতে স্ত্রী, দুই সন্তান এবং মা থাকেন। তাদের জন্য মাসে পাঠান তিন হাজার টাকার মতো।’
হাফিজুর আরও বলেন, ‘সবকিছুর দাম বাড়ার কারণে গত মাস থেকে মেস ভাড়া বাড়ার কথা বলেছে। অনেক অনুরোধ করে এ মাস পর্যন্ত সময় নিয়েছি। সামনের মাস থেকে ৫০০ টাকা বেশি দিতে হবে। এখনই যে খরচ তাতে বেশিরভাগ দিন দুপুরে না খেয়ে থাকতে হয়। আগামী মাস থেকে ৫০০ টাকা বেশি দিতে হলে কষ্ট আরও বেড়ে যাবে। জিনিসপত্রের দাম কম থাকলে হয়তো মেস ভাড়া একটু কম দেয়া যেত।’
দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বিক্রেতারা জানান, বন্যা ও বৃষ্টির কারণে সব ধরনের জিনিসের দাম বাড়তি। শীতের সবজির সরবারহ বাড়লেই দাম কমে যাবে।