1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

দাঁড়ি কেটে যেভাবে ভারতে পালাতে চেয়েছিলেন গণধর্ষণের আসামি সাইফুর

দিনলিপি নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৪৩৭ বার

সিলেটে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান ভারতে পালাতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। রোববার সকাল ৮টার দিকে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা নোয়ারাই খেয়াঘাট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ বলছে, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত হয়ে ভারত পালাতে চেয়েছিলেন আসামি সাইফুর। রোববার ভোর ৬ টার দিকে তিনি ছাতক নোয়ারাই এলাকায় সুরমা নদীর খেয়াঘাটে যান।

তবে প্রযক্তির সহায়তায় সীমান্ত এলাকার দিকে আসামি সাইফুর রহমানের অবস্থান নিশ্চিত করে পুলিশ। পরে সেখানে যান ছাতক সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) বিল্লাল হোসেন।

এএসপি বিল্লাল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ছবিতে সাইফুরের দাঁড়ি ছিল। তিনি দাঁড়ি কেটে মুখে মাস্ক লাগিয়ে খেয়াঘাটে যান। পরনে ছিল টি-শার্ট ও প্যান্ট। ভোরে সীমান্ত এলাকায় পৌঁছান। হয়তো সীমান্ত এলাকায় গিয়ে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা ছিল।

তিনি আরও বলেন, সাইফুরকে পালাতে কেউ সহায়তা করেছেন কিনা, তার খোঁজ করতে ছাতক ও দোয়ারাবাজারে তার আত্মীয়দের সম্পর্কে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।

এদিকে ছাতক থানা পুলিশ সূত্র জানায়, এসআই হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ছাতক উপজেলার সুরমা নদীর খেয়াঘাট এলাকায় নজরদারি করছিল।

সাইফুরকে ভোর ছয়টা থেকে প্রায় আধা ঘণ্টা খেয়াঘাট পার হয়ে অপেক্ষা করতে দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। তার কাছে যেতেই বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ হওয়া সাইফুরের ছবির সঙ্গে তার মিল পাওয়া যায়। তখন তাকে নাম জিজ্ঞেস করা হয়।

এতে তিনি সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় তাকে আটক করে থানায় নেয়া হয়। থানায় তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয় পুলিশ।

সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, প্রযক্তির সহায়তায় সীমান্ত এলাকার দিকে আসামি সাইফুর রহমানের অবস্থান নিশ্চিতের পরই একটি দল পুলিশ নোয়ারাই খেয়াঘাট থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত সাইফুর রহমান সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার সোনাপুরের চান্দাইপাড়ার মো. তাহিদ মিয়ার ছেলে।

ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর অস্ত্র মামলারও আসামি। মামলার এজাহারে তার বর্তমান ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে ‘ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধাকের বাংলো’। ছাত্রাবাসে তিনি ২০৫ নম্বর কক্ষটি দখল করে থাকতেন।

গত শুক্রবার রাতে ধর্ষণ ঘটনার পর ভোর রাতে ছাত্রাবাসে পুলিশের অভিযানে ২০৫ নম্বর কক্ষ থেকে পাইপগান, চারটি রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার হয়।

এ জাতীয় আরো সংবাদ