দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৪৮ জনে। এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১ হাজার ১২৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনা শনাক্ত হলো মোট ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯০ জনের।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ। রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৭৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫৮৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৮১ হাজার ৬৫৬ জন। মারা যাওয়া ২৩ জনের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী। এর মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ২২ জন, বাড়িতে ১ জন।
বিভিন্ন বিভাগে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ঢাকায় ১৭ জন, চট্টগ্রামে ১ জন, রাজশাহীতে ১ জন, খুলনায় ১ জন, সিলেটে ১ জন, রংপুরে ২ জন রয়েছেন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, নিহতদের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছরের ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বয়সের মধ্যে ৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৬০ বছরের ওপরে ১২ জন রয়েছেন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা সাড়ে তিন লাখ পেরিয়ে যায় ২১ সেপ্টেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৫ অগাস্ট সেই সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে পঞ্চদশ স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ২৯তম অবস্থানে।
বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৩ কোটি ৪৯ লাখ পেরিয়েছে; মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১০ লাখ ৩৩ হাজারের ঘরে।