ভ্লাদিমির পুতিন নামটি সভ্যজগতের প্রতিটি মানুষেরই জানা। তাকে আমরা চিনি রাশিয়ার দোর্দন্ড প্রতাপ প্রেসিডেন্ট হিসেবে। ইসরায়েল, আমেরিকাকে টেক্কা দিয়ে চলার মত বর্তমান পৃথিবীতে বোধহয় এই একজন মানুষই রয়েছেন। বিশ্বে ক্ষমতাধর ব্যাক্তি ভ্লাদিমির পুতিনের জন্মদিন আজ। শুভ জন্মদিন পুতিন।
যদি জেমস বন্ড বা মাসুদ রানা চাকরি থেকে অবসর নিয়ে রাজনীতিতে নেমে কোনও দেশের প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি হয়ে বসলেন – তাহলে কেমন হবে? – স্বপ্ন মনে হচ্ছে? রাশিয়ার মানুষের কাছে কিন্তু ব্যাপারটি স্বপ্ন নয়- সেই ১৯৯৯ সাল থেকে তারা এই স্বপ্নের মাঝেই বসবাস করছে। কারণ তাদের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিন একজন বাস্তব জীবনের একজন জেমস বন্ড বা মাসুদ রানা। কেজিবির অন্যতম একজন সেরা সিক্রেট এজেন্ট হিসেবে অবসর নিয়ে নব্বইয়ের দশকে তিনি রাজনীতিতে নামেন- এবং অল্প কিছুদিনের ব্যবধানেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট তো হনই, পুরো বিশ্বের নিয়ন্ত্রণের একটি বড় অংশ নিজের অধিকারে নিয়ে নেন।
বর্তমান বিশ্বে হাতেগোনা যে কয়েকজন নেতা সম্পূর্ণ নিজের মত করে চলার ও দেশকে নিজের মত করে পরিচালিত করার সাহস রাখেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাদের অন্যতম। সারা বিশ্ব যখন আমেরিকা ও তার মিত্রদের ভয়ে টতস্থ, পুতিন তখন তাদের বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে তার নিজের বিচার বিবেচনায় তার দেশের ভেতরের ও বাইরের সমস্যাগুলোর সমাধান করেন। তার দৃঢ়চেতা ও শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধি দিয়ে তিনি রাশিয়ার রাজনীতিবিদ এবং সরকারী কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অসততাকে লাগাম পরিয়ে রেখেছেন। আমেরিকার বাড়া ভাতে ছাই দিয়ে সিরিয়ায় অভিযান চালাচ্ছেন।
পশ্চিমা প্রচার মাধ্যম সেভাবে স্বীকার না করলেও তার দেশে তিনি বিপুল ভাবে জনপ্রিয় এবং সেই জনপ্রিয়তা দিন দিন দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে দেশের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ছে। পশ্চিমা উস্কানিতে তার বিরুদ্ধে দানা বাঁধা সমস্ত প্রতিরোধকে তিনি কঠোর হাতে দমন করে চলেছেন এখনও। তিনি দুই মেয়াদে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এবং দুই মেয়াদে দেশটির রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১২ সালে দ্বিতীয়বার প্রেসিন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এখনও নিষ্ঠার সাথে সেই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন এবং রাশিয়া ও বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে গূরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
তার দেশের আশি ভাগ এর বেশি মানুষ তাকে ভালবাসে, সমর্থন করে এবং তাদের শাসক হিসেবে দেখতে চায়। বলা হচ্ছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে সর্ব প্রকারের প্রতিকূতা সত্বেও বিজয় লাভের পেছনে আসলে পুতিনেরই হাত আছে। পুতিন সাহায্য না করলে ট্রাম্প কখনওই যুক্তরাষ্ট্রের পেসিডেন্ট হতে পারতেন না। নিন্দুকেরা নিন্দা করলেও, এটা পুতিনের ক্ষমতারই পরিচায়ক।
অনেকের মতেই বর্তমান বিশ্বের এক নম্বর ক্ষমতাধর ব্যক্তি ভ্লাদিমির পুতিন। চলুন আজ জেনে নেই একজন সিকিউরিটি গার্ড এর সন্তান হিসেবে জন্ম নিয়ে কিভাবে পুতিন রাশিয়ার লৈাহ মানবে পরিনত হয়ে বিশ্বরাজনীতির একজন অন্যতম ক্ষমতাধর খেলোয়াড় হয়ে উঠলেন।