1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

ধর্ষণের মামলা ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে

দিনলিপি নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২০
  • ৪৬৮ বার

নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রক্রিয়া ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে। কোন বিচারক বদলি হয়ে গেলে তিনি মামলা যে অবস্থায় রেখে যাবেন সে অবস্থা থেকে আবার দ্রুত মামলা চালিয়ে যেতে হবে।

সোমবার (১২ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে সীমিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা জানান।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে ভার্চুয়াল এই সভায় যোগ দেন।

মামলাটি কতোদিনের মধ্যে সমাপ্ত করতে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি ১৮০ দিনের মধ্যে সম্পন্নের সিদ্ধান্ত আছে। তদন্ত বিচার পদ্ধতি সবকিছুই এর মধ্যে উল্লেখ রয়েছে। নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল এটি করবে এবং শেষ করতে হবে ১৮০ দিনের মধ্যে। বিচারক যদি কোন কারণে ট্রান্সফার হয়ে যায় সেক্ষেত্রেও বিলম্ব হয় অনেক ক্ষেত্রে। তবে কোন বিচারক চলে গেলে তিনি মামলা যে অবস্থায় রেখে যাবেন সে অবস্থা থেকে মামলা চালিয়ে যেতে হবে।

তিনি জানান, গত কিছু দিনের ঘটনার প্রেক্ষিতে মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয় “নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০০০ এর খসড়া অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করেন। আইনের ৯(১) ধারায় পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করা হয়েছিলো। নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ প্রতিরোধে এই ধারায় ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন সংশোধনের প্রস্তাব করে। এতে প্রধানমন্ত্রীসহ সবাই এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছে। তবে যেহেতু এখন সংসদের অধিবেশন নেই এবং আশু ব্যবস্থা নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে তাই রাষ্ট্রপতির প্রদত্ত ক্ষমতাবলে অধ্যাদেশ প্রদান করতে পারবেন।ভেটিংয়ের পরিপ্রেক্ষিতে ফাইনাল কার্যকর হয়ে যাবে।

তিনি জানান, এ সংশোধনী শুধু আন্দোলনের প্রেক্ষিতে নয়, বিভিন্ন দেশের সার্বিক পরিস্থিতি আমরা দেখেছি। আমাদের বর্তমান পরিস্থিতিসহ সবকিছু মিলিয়েই এ সিদ্ধান্ত এসেছে। সরকারের পক্ষ থেকেও এটি আলোচনায় এসেছে। মানুষের অ্যাওয়ারনেসটাই গুরুত্বপূর্ণ।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এই সংশোধনীর ফলে মৃত্যুদন্ডের বিষয়ে ব্যাপক ক্যাম্পেইন হচ্ছে। এর ফলে একটি পজিটিভ ইম্প্যাক্ট পড়বে সাধারন মানুষের মধ্যে। যারা এই ক্রাইমটি করবে তারা চিন্তা করবে এতে তো মৃত্যুদণ্ডের আদেশ রয়েছে। সে কিন্তু একটু হলে স্ক্যারট থাকবে।

তিনি বলেন, এখানে ক্ষতিপূরণের বিষয়ও রয়েছে, বিচারকরা যেন সেদিকে নজর দেন। এটাতে আইন আছে ১ লাখ টাকার। কিন্তু তার বাইরেও কিন্তু ক্ষতিপূরণের বিধান আছে। যেমন ১৫ ধারায় আছে অর্থদণ্ডের বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি যাতে দণ্ডিত ব্যক্তির থেকে বা তার বিদ্যমান সম্পদ থেকে আদায় করারা যাবে, এ সম্পদ আদায় করতে হবে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ