1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

এবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নুরের বিরুদ্ধে মামলা

দিনলিপি নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২০
  • ৪৪২ বার

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে মামলার বাদীকে নিয়ে ‘অশালীন মন্তব্য’ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরুর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন অনশনরত সেই শিক্ষার্থী।

আজ বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে মামলাটি করেন তিনি।

বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন এ তথ্য গণমাধ্যমে জানান। এর আগে নুরুসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছিলেন ঢাবির ওই শিক্ষার্থী।

গত রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের সহযোগিতা করার অভিযোগে মামলাকারী সেই ছাত্রীকে ‘দুশ্চরিত্রা’ বলেন নুর। গত ৮ অক্টোবর রাত থেকে নুর-মামুনসহ আরও চারজনকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সেই ছাত্রী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসেন। এরপরই এ মন্তব্য করেন নুর।

নুর বলেন, ‘আমি তদন্ত করে দেখেছি, ছাত্র অধিকার পরিষদের আব্দুল্লাহ হিল বাকি, নাজমুল হুদা ও সাইফুল ইসলামের এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই।’

নাজমুল কিংবা সোহাগের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে উল্লেখ করে ভিপি নুর আরও বলেন, ‘ছাত্রীর ভাই হাফেজ। তিনি হয়তো মিথ্যা বলবেন না। তিনি বলেছিল যে, নাজমুল হাসান সোহাগ তাদের বাসায় যাওয়া-আসা করতো। তাদের সঙ্গে বিয়ের কথা-বার্তাও হয়েছিল। নাজমুল সোহাগের সঙ্গে ওই ছাত্রীর লঞ্চের কেবিনে হাসি-খুশি যে একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে, যে লঞ্চের কেবিনে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে- একেবারে হাস্যরসাত্মক। ছিঃ! আমরা ধিক্কার জানাই, এত নাটক যে করছে, দুশ্চরিত্রাহীন। যে স্বেচ্ছায় একজন ছেলের সাথে বিছানায় গিয়ে, লঞ্চে হাসিখুশিভাবে…’

লঞ্চে ধর্ষণ করা সম্ভব? প্রশ্ন রেখে নুর বলেন, ‘লঞ্চে পাশাপাশি কেবিন। ধর্ষণ করলে ওই মেয়ে চিৎকার করতে পারতো না? ধর্ষণের পর তারা লঞ্চে ছিল, নিচে নামেনি? মানুষের কাছে বলতে পারত না যে, সোহাগ আমাকে ধর্ষণ করেছে? ধর্ষণ হয়েছে জানুয়ারি মাসে, এতদিন মামলা করতে পারেনি? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন-প্রক্টরের কাছে একটা লিখিত অভিযোগ দিতে পারেনি? থানায় একটা মামলা করতে পারেনি? এমন অনেক বিষয় আছে।’

উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে রাজধানীর লালবাগ থানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী মামলা করে। এতে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনসহ ছয় জনকে আসামি করা হয়। পরে ওই ঘটনায় কোতায়ালি থানায় আরও একটি মামলা করে ওই ছাত্রী।

আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গত ৮ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আমরণ অনশন শুরু করে ওই ছাত্রী। এরপর রোববার ৪ ছাত্র নেতাকে তুলে নিয়ে দুইকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তারা হলেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম এবং ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি নাজমুল হুদা।

এ জাতীয় আরো সংবাদ