1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫৪ অপরাহ্ন

পেঁয়াজের উৎপাদন ১০ লাখ টন বৃদ্ধির উদ্যোগ

দিনলিপি নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২ নভেম্বর, ২০২০
  • ২৩১ বার

দেশের পেঁয়াজের উৎপাদন ১০ লাখ টন বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আগামী ৩ বছরের মধ্যে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি সচিব মেসবাহুল ইসলাম।

রোববার (০১ নভেম্বর) অনলাইনে মেহেরপুরের কালিগাংনিতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) আয়েজিত ‘গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের’ মাঠ দিবসে শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

কৃষি সচিব বলেন, ‘আগামী ৩ বছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন ১০ লাখ টন বাড়ানো হবে। সেজন্য গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়াতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয় এ লক্ষ্য অর্জনে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রদর্শনী প্লট থেকে নমুনা পেঁয়াজ সংগ্রহে দেখা যাচ্ছে হেক্টর প্রতি প্রায় ১৯ মেট্রিক টন গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে যা খুবই আনন্দের ও আশাব্যাঞ্জক। পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হলে এই উচ্চফলনশীল বারি-৫ জাতের পেঁয়াজের চাষ সারা দেশে দ্রুত ছড়িয়ে দিতে হবে। কারণ, পেঁয়াজে আমরা অন্যের উপর নির্ভরশীল হতে চাই না, পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই।

মাঠদিবসে প্রদর্শনী প্লট থেকে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের নমুনা হার্ভেস্টে দেখা যায়, বারি-৫ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন অনেক ভালো, হেক্টর প্রতি প্রায় ১৯ মেট্রিক টন। এবছর মেহেরপুরে ১৭৯জন কৃষক প্রায় ২৫ একর জমিতে বারি-৫ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চাষ করেছেন।

স্বল্পসুদে পেঁয়াজ চাষিদের কৃষিঋণ নিশ্চিত করতে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের সমন্বয়ে কমিটি করে দেয়া হবে উল্লেখ করে ড. রাজ্জাক আরও বলেন, পেঁয়াজ, রসুনসহ মসলাজাতীয় ফসলের চাষে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে কৃষকেদেরকে কৃষিঋণ দেয়া হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলো এ কৃষিঋণ প্রকৃত কৃষক পায় না। স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসব কৃষিঋণ নিয়ে কৃষিবাদে অন্যান্য কাজে লাগায়। এ কৃষিঋণ যাতে প্রকৃত কৃষক পায়; পেঁয়াজ, রসুনসহ মসলাজাতীয় ফসলের চাষে কাজে লাগে তা কঠোরভাবে এসব কমিটির মাধ্যমে মনিটর করা হবে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, মেহেরপুর কৃষিতে অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি অঞ্চল। এখানকার মাটি খুবই উর্বর হওয়ায় প্রায় সব ধরনের ফসল প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন হয়। অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি পেঁয়াজের ফলনও অনেক। দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি পূরণে এই অঞ্চলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তাই স্বল্প খরচে যেন অধিক পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদন করা যায় সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। এজন্য, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া, পেঁয়াজের পচনরোধে আধুনিক সংরক্ষণ ব্যবস্থাও গড়ে তুলতে হবে।

অনুষ্ঠানে বারি’র মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলামের সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো: হাসানুজ্জামান কল্লোল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এ জাতীয় আরো সংবাদ