চলতি বছরের জানুয়ারিতে রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি মজনুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর ৩টায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আফরোজা ফারহানা আহম্মেদ অরেঞ্জ বলেন, ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি মজনুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ায় আমরা সন্তুষ্ট। এ রায়ে আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি।
তবে মজনুর আইনজীবী (সরকার থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত) রবিউল ইসলাম বলেন, রায়ে আমরা ন্যায়বিচার পায়নি। রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।
রায়ের আগে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আফরোজা ফারহানা আহম্মেদ অরেঞ্জ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, এই মামলায় আসামি মজনু ধর্ষণের কথা আদালতে স্বীকার করেছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন হয়েছে। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ আসামির যাবজ্জীবন কামনা করেছি।
এর আগে ১২ নভেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। মামলার ২৪ সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। ১৩ কার্যদিবসে মামলাটির বিচার কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে নামলে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে ধর্ষণের শিকার হন ওই ঢাবি শিক্ষার্থী। ধর্ষণের একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন নির্যাতিতা। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে পরে সিএনজি নিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যান ওই ছাত্রী। পরে রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।
পরের দিন সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি উত্তর)। গত ৮ জানুয়ারি মজনুকে গ্রেফতার করে র্যাব। ১৬ জানুয়ারি ঘটনার দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন মজনু।