আশির দশক থেকে এখন পর্যন্ত খল চরিত্রে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে যাচ্ছেন অভিনেত্রী শাহনাজ পারভিন দুলারী। সুমিতা দেবী, মায়া হাজারিকা কিংবা রিনা খানের পরে দুলারী হচ্ছেন একজন শক্তিমান খল অভিনেত্রী। প্রায় ৮ শতাধিক ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। পেয়েছেন বহু পুরষ্কার। তার এই দীর্ঘ ক্যারিয়ার মোটেই সহজ ছিলো না। সম্প্রতি চলচ্চিত্র পরিচালক মালেক আফসারীর ‘উল্টো চশমা’ নামে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তার জীবনের বহু অজানা বিষয় শেয়ার করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি হিন্দুর মেয়ে। আমার আগের নাম আল্পনা দুলারী দে। এখন আমার নাম শাহনাজ পারভিন দুলারী। আমি মুসলিম ধর্ম পালন করি। আমি ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি, কোরবানি দেই, রোজার মাসে রোজা রাখি, আমার যে ধর্ম ভালো লাগে…।’
তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই অভিনয় অনেক ভালো লাগতো। দেখতাম- রাজ্জাক ভাই, শাবানা আপা, কবরী আপাকে অভিনয় করতে। তখন থেকেই আসছে অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক। পঞ্চম শ্রেণিতে ওঠার পর একদিন স্কুল পালিয়ে ‘মালেকা বানুর’ শুটিং দেখতে গিয়েছিলাম। এরপর বাড়িতে ফেরার পর মায়ের মার খেলাম। ওই মার খাওয়ার পর থেকেই মনে জিদ চেপে গেলো আমি অভিনয়ই করবো। মূলত বান্ধবীর মামার হাত ধরেই আমার সিনেমায় আসা। কিছুদিন পর বাড়ি থেকে চম্পট! চলে আসি এফডিসিতে। সেখানে এসে পরিচালক সিরাজুল ইসলামের সাথে দেখা হয়। আমি তাকে অনুরোধ করি; আমি তো আর বাড়ি ফিরে যেতো পাবো না সুতরাং আপনি আমাকে কাজ দেন। তখন তিনিই আমাকে প্রথম কাজ দেন।’
‘হিন্দু হয়েও মুসলিম ধর্ম পালন করি’
এই অভিনেত্রী বলেন, ‘প্রথমে আমি কমেডি দিয়েই অভিনয় শুরু করি। ৫ বছরে আমার ১৩০টি কমেডি ছবি রিলিজ। এরপর আমি খল চরিত্র শুরু করি। এখনো সেটাই চলছে।
তবে এর মাঝে আমি বাড়ি ফেরে গেলে আমার বাবা-মা আমাকে গ্রহণ করলেও আমার কাকারা আমাকে গ্রহণ করেনি। তাই তখন থেকেই আমি তাদের থেকে আলাদা।’
পরোপকারী ও সমাজসেবক হিসেবে তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। সম্প্রতি তিনি কাজ করেছেন পরিচালক কাজী হায়ত ও চিত্রনায়ক শাকিব খানের ‘বীর’ সিনেমায়।
সুত্রঃ ইত্তেফাক।