1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
স্কুলে কোটায় ভর্তি হতে পারবে না মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা পদত্যাগ করেছেন দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার বিএনপির কমিটিতে ‘আ.লীগ-সংশ্লিষ্টদের’ নাম, তৃণমূলে ক্ষোভ বাকেরগঞ্জের গরু চোরের মাস্টারমাইন্ড মজনু ডিবির হাতে গ্রেফতার যুবদল নেতার উপর হামলার ঘটনায় বিএনপির সভাপতিসহ ১৬ জনকে আসামী করে মামলা!  সিরাজদিখানে সরকারী রাস্তা দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ! পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন জন হোপফিল্ড ও জিওফ্রে হিন্টন কর্মস্থলে যোগ না দেয়া পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু: ডিএমপি কমিশনার মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরল ৮৫ বাংলাদেশি, গেল ১২৩ বিজিপি-সেনা সদস্য হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসাদুজ্জামান নূর

টেকসই জ্বালানিতে অগ্রগতি অর্জনকারী দেশের অন্যতম বাংলাদেশ

দিনলিপি নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৫৯৫ বার

যথেষ্ট বিদ্যুৎ সুবিধার ঘাটতি রয়েছে এমন দেশগুলোর মধ্যে ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া ও তানজানিয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশসহ বেশকিছু দেশ টেকসই জ্বালানি নীতি গ্রহণে সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি লাভ করেছে। বিশ্বব্যাংকের উল্লেখ করে এই কথা জানায় বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)।

জ্বালানি নীতি বিষয়ে বৈশ্বিক অগ্রগতি সংক্রান্ত বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রতিবেদন আরআইএসই- ২০২০ অনুসারে, বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে টেকসই জ্বালানি নীতিতে অগ্রগতি হয়েছে, তবে সবচেয়ে দ্রুত উন্নতি হয়েছে সাব-সাহারা আফ্রিকাতে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অতীতের তুলনায় সার্বিকভাবে বৈশ্বিক নীতিগত অগ্রগতি অপেক্ষাকৃত ধীর, বিশেষত নবায়নযোগ্য শক্তি ও জ্বালানি দক্ষতার ক্ষেত্রে।

টেকসই জ্বালানি সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রক সূচক (আরআইএসই) ২০২০ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি ৭) অর্জনের চারটি লক্ষ্য যেমন নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি দক্ষতা, বিদ্যুতের ব্যবহার করা সুযোগ এবং দূষণমুক্ত রান্নার সুবিধার বিষয়ে ১৩৮টি দেশে নীতিগত অগ্রগতি বিবেচনা করেছে।

এই চারটি লক্ষ্য অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য, টেকসই এবং আধুনিক জ্বালানি সুবিধা অর্জনের প্রয়াস চালানো হচ্ছে।

বিশ্বব্যাংকের ভাইস-প্রেসিডেন্ট মখতার দিওপ বলেন, মহামারি আঘাত হানার আগে আমাদের যে অগ্রগতি হয়েছিল তা অব্যাহত রাখতে হবে। মহামারি-পরবর্তী পুনরুদ্ধার এবং কম কার্বন নিঃসরণের বিষয়ে নীতি নির্ধারকদের টেকসই জ্বালানি নীতি গ্রহণ এবং জ্বালানি সর্বজনীন সুবিধা লাভের গতি ত্বরান্বিত করতে হবে।

তিনি বলেন, পুনরুদ্ধার পরিকল্পনাগুলোতে দীর্ঘমেয়াদি কৌশল নির্ধারণ এবং পরবর্তী দশকে এসডিজি ৭ টার্গেটের সঙ্গে জ্বালানি নীতির সমন্বয় করতে হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নীতিগত অগ্রগতি ২০১৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বিদ্যুৎ এবং দূষণমুক্ত রান্নার সুবিধা লাভের সুযোগ ত্বরান্বিত করেছে।

মিনি গ্রিড এবং স্ট্যান্ড এলোন পাওয়ার সিস্টেম গ্রিডের তুলনায় বিদ্যুৎ সুবিধার জন্য জ্বালানি বিতরণে অভিযোজন বৃদ্ধি পেয়েছে। ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া এবং তানজানিয়াও ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা ও ইউটিলিটি ব্যবহারে স্বচ্ছতা সংক্রান্ত নীতিতে অগ্রগতি লাভ করেছে।

দূষণমুক্ত রান্না করার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালে সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলোতে বিশেষত বেনিন, কেনিয়া, নাইজেরিয়া এবং তানজানিয়াতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।

২০১০ সাল থেকে এশিয়ায় (বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মঙ্গোলিয়া এবং নেপাল) এবং লাতিন আমেরিকায় (গুয়াতেমালা) নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিগুলো দ্রুত অগ্রগতি লাভের এক দশক পরে উচ্চ-মধ্যম এবং নিম্ন-আয়ের দেশগুলোতে পরিবর্তন ঘটাচ্ছে।

আরআইএসই-র আওতাভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে, ২০১০ সালে মাত্র ৩৭ শতাংশ দেশে জাতীয় নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল। ২০১৯ সালের মধ্যে বিশ্বের ৯৯ শতাংশ দেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য আইনি কাঠামো প্রণয়ন করেছে বা প্রক্রিয়া শুরু করেছিল।

বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য উন্নত নীতি কাঠামো ছিল। এগুলোকে প্রতিবেদনে ‘গ্রিন জোন’ হিসেবে এবং উন্নতির প্রস্তাব করে ৪৪ শতাংশ দেশকে ‘হলুদ অঞ্চল’ হিসেবে দেখানো হয়েছে।

২০১৯ সালের মধ্যে, আরআইএসই-র প্রায় ৭০ শতাংশ দেশ জ্বালানি দক্ষতা পরিকল্পনা তৈরি করেছে। সমীক্ষাভুক্ত দেশগুলোর প্রায় ৭৫ শতাংশ ন্যূনতম এইচভিএসি জ্বালানি দক্ষতার মান সংক্রান্ত নীতি গ্রহণ করেছে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ