অভাব শব্দটির সঙ্গে একেবারেই অপরিচিত একটি দেশ সৌদি আরব। খনিজ সম্পদে ভরপুর এ দেশটি বিশ্বের তেলের বাজারের নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে অন্যতম। বিশ্বের সবচেয়ে ধনি দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরবের নাম দুই-একে উঠানামা করে। তবে এবার সম্পদের এই সূতিকাগারেও দেখা দিয়েছে অভাব। চলতি বছর বাজেট ঘাটতি ৭ হাজার ৯০০ কোটি ডলারে দাঁড়াবে।
তেলের দামে পতন এবং নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দায় এ ঘাটতিতে পড়তে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম অর্থনীতিটি। মঙ্গলবার এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানায় সৌদি আরবের অর্থ মন্ত্রণালয়। ২০২১ অর্থবছরের বাজেট পাস করে সৌদি আরব জানায়, টানা আট বছর ঘাটতির মুখোমুখি হওয়ায় আগামী বছরে সরকারি ব্যয় কমানো হচ্ছে। খবর এএফপি।
সৌদি অর্থ মন্ত্রণালয় এক বাজেট বিবৃতিতে জানায়, চলতি বছরে দেশটির বাজেট ঘাটতি ২৯ হাজার ৮০০ কোটি রিয়াল বা ৭ হাজার ৯০০ কোটি ডলারে দাঁড়াবে, যা দেশটির জিডিপির ১২ শতাংশ। আগামী বছর এ ঘাটতি ১৪ হাজার ১০০ কোটি রিয়াল বা ৩ হাজার ৭৬০ কোটি ডলারে নেমে আসবে বলে আশা করছে তারা।
বিদায়ী বছরের প্রায় আট হাজার কোটি ডলারের বাজেট ঘাটতি পূর্বাভাস বছরের শুরুতে দেয়া ৫ হাজার কোটি ডলারের ঘাটতি পূর্বাভাসের চেয়ে অনেক বেশি। চলতি বছরে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ সংকোচনের পর আগামী বছর ৩ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে পূর্বাভাস সৌদি অর্থ মন্ত্রণালয়ের। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) অবশ্য চলতি বছরে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ সংকোচনের পূর্বাভাস দিয়েছে।
সৌদি আরবের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চলতি বছরের ৩৪ হাজার ৬০০ কোটি রিয়াল বা ৯ হাজার ২০০ কোটি ডলার থেকে কমে আগামী বছর ২৮ হাজার রিয়াল বা ৭ হাজার ৪৬০ কোটি ডলারে দাঁড়াবে।