চলতি মৌসুমের প্রথম দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের উত্তরাঞ্চলের তিনটি এলাকায়। নীলফামারী, পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রাম অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। আবহাওয়া অফিস একে বলেছে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। জ্যৈষ্ঠ আবহাওয়াবিদরুহুল কুদ্দুস গতকাল শুক্রবার বলেন, বিরাজমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহ সপ্তাহ খানেক বিরাজ করবে। রাতের তাপমাত্রা আরও ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস নামতে পারে। তিনি জানান, উত্তরাঞ্চল ছাড়িয়ে পশ্চিমাঞ্চলেও শৈত্যপ্রবাহের বিস্তার ঘটতে পারে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসে বিস্তীর্ণ এলাকায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করতে পারে। শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশাও থাকতে পারে। সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শুক্রবার ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেশের সর্বনিম্ন।
এছাড়া রংপুর ও রাজশাহী অঞ্চলের অধিকাংশ স্থানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল। রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজার ও সীতাকু-ে ২৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বড় এলাকাজুড়ে তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এলে আবহাওয়াবিদরা তাকে বলেন মৃদু শৈপ্রবাহ; থার্মোমিটারের পারদ ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এলে তাকে মাঝারি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে ধরা হয়।
ডিসেম্বরে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বাংলাদেশে শীতের দাপট মূলত চলে জানুয়ারি মাসজুড়ে। ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ২০১৩ সালের ১১ জানুয়ারি সৈয়দপুরের তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছিল। এর আগে ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।